এন্টি এজিং কী বাস্তবসম্মত?

0
186
এন্টি এজিং

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যত এগিয়ে যাচ্ছে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও তত গবেষণা হচ্ছে। মানুষের প্রত্যাশা, একদিন হয়তো মানুষ অমরত্ব লাভ করতে না পারলেও আয়ু বাড়াতে পারবে প্রত্যাশিত মাত্রায়। কিন্তু গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষ তার আয়ু বৃদ্ধি কামনা করলেও অস্বাভাবিক দীর্ঘায়ুর চিন্তা মানব সমাজের এবং মানুষের নিজের জন্যও ‘বাস্তবসম্মত’ এবং শুভ নয়। প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে ‘এন্টি এজিং’ এর চর্চা হিতে বিপরীত হতে পারে।

১৮৫০ এর দশকের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪০ বছর। বর্তমানে সেই আমেরিকার মানুষ গড়ে প্রায় ৮০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। আয়ু বৃদ্ধি নিয়ে গবেষকরা বলেছেন, গড় আয়ুকে দ্বিগুণ করা সম্ভব না হলেও দেড়গুণ করা সম্ভব। একই সঙ্গে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ার গতিও কমিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু এর বিরোধীতা করা বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম উপায়ে আয়ু বাড়ানোর অনেক বিপদ বলে মন্তব্য করেছেন। তারা বলছেন, আয়ু বৃদ্ধির এই অযৌক্তিক গবেষণা বিশ্বের জনসংখ্যার উপর ভয়ানক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এর বিরোধীতা কারীরা বলছেন, মানুষ কত দিন বাঁচল তার উপর চেয়ে জন্মহারই বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারে দায়ী। তাই আয়ু বৃদ্ধি পেলে তাতে সমস্যা বেশি হবে না। জন্মহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে হয়।

আবার অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, মানুষের স্বাভাবিক আয়ু বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি করা সম্ভব কি না। তবে সাম্প্রতিক ইদুরের উপরে চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, আয়ু বৃদ্ধির ওষুধ প্রয়োগে তাদের কোষের বৃদ্ধি অনেক ধীরগতি হয়েছে। ফলে তাদের স্বাভাবিক আয়ু বেশ বেড়ে গেছে। অর্থাত্ ইদুরের উপর এই গবেষণা সফল হয়েছে। কিন্তু মানুষের উপর এই ওষুধ কতটা কার্যকরী হবে সেটা নিশ্চিত হতে আরো বেশ সময়ের প্রয়োজন বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

তবে রক্ত পরিবর্তনের মাধ্যমে আয়ু কিছুটা বাড়ানো সম্ভব বলে বেশ কয়েকটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। বৃদ্ধ বয়সী মানুষের শরীরে তরুণ বয়সীদের রক্ত ট্রান্সফিউশন করে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এভাবে আয়ু বাড়ানো সম্ভব হলেও এটাকে ‘ভীতিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী পক্ষ। এই চর্চাকে ‘ভ্যাম্পায়ারিক’ বলেও মন্তব্য তাদের। -বিবিসি

আরও পড়ুনঃ   এনার্জি বৃদ্ধি-যে ৫টি পানীয় নিমিষে বৃদ্ধি করবে এনার্জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

17 − twelve =