এনার্জি বৃদ্ধি-যে ৫টি পানীয় নিমিষে বৃদ্ধি করবে এনার্জি

0
241
এনার্জি

কাজ করতে করতে ক্লান্তি লাগবে এটি স্বাভাবিক। এই ক্লান্তিবোধ দূর করার জন্য আমরা কি পান করি? সাধারণত চা অথবা কফি নয়তো কোন এনার্জি ড্রিঙ্ক। আপাততদৃষ্টিতে এই পানীয়গুলো ক্লান্তি দূর করে থাকলেও আসলে আপনাকে আরও বেশি ক্লান্ত করে তোলে। কিছু খাবার এবং পানীয় আছে যা আপনার ক্লান্তিবোধ কাটিয়ে নতুন করে কাজে উদ্যমী করে তোলে।
১। লেবুর শরবত
৫ চা চামচ লেবুর রস, এক চিমটি লবণ, ২ চামচ মধু এবং ২ কাপ পানি ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার কিছু বরফকুচি দিয়ে পান করুন। দেখবেন মুহূর্তে ক্লান্তি বোধ অনেকখানি কমে গেছে।
২। আলুর পানি
১টি খোসা ছড়ানো আলু এবং ৮ আউন্স পানি। পানিতে আলু সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এটি পান করুন। সারাদিনের এ্যানার্জি পেয়ে যাবেন এই এক গ্লাস আলু পানি থেকে। এটি আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম দিয়ে থাকে। যা আপনাকে কাজে আগ্রহী করে তোলে।
৩। যষ্টিমধু
১ টেবিল চামচ যষ্টিমধু এবং ১ কাপ পানিতে ১০ মিনিট সিদ্ধ করে নিন। জ্বাল হয়ে আসলে লেবুর রস অথবা মধু মিশিয়ে নিন। এবার এটি সকালে পান করুন। যষ্টিমধু কাশির প্রতিষোধক হিসেবে পরিচিত। যষ্টি মধুর উপাদান দেহে করটিসলের সরবরাহ বৃদ্ধি করে এনার্জি দিয়ে থাকে।
৪। পালংশাক
আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি, প্রোটিন এর অন্যতম উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা শরীরের আয়রন শোষণ করে থাকে। সকালে এক গ্লাস পালং শাক স্মুদি পান করতে পারেন। অথবা সালাদ, স্যুপ অথবা সবজিতে পালং শাক রাখুন।
৫। কলার স্মুদি
এনার্জি বৃদ্ধিতে কলা বেশ কার্যকর। আপনি যদি মনে করেন এর মিষ্টি আপনার সুগার লেভেল বাড়িয়ে দিবে, তবে ভুল ধারণা তা। এটি দ্রবণীয় আঁশযুক্ত ফল যার চিনি রক্তের সাথে সহজে মিশে যায়। এটি দ্রুত শরীরে এনার্জি দিয়ে থাকে। দুধ এবং কলা দিয়ে স্মুদি তৈরি করে খেতে পারেন। এছাড়া সকালের নাস্তায় একটি কলা খেতে পারেন। সারাদিনের কাজের এনার্জি পেয়ে থাকবেন কলা থেকে।
ডায়াবেটিস থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে পারেন আপনিও!
ইঁদুরের ওপর সফল পরীক্ষা চালানোর পর ডায়াবেটিস থেকে পুরোপুরি সারিয়ে তোলার চিকিৎসা বের করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী অনেক দূর এগিয়েছেন বলে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের শরীরে বিশেষ পদ্ধতিতে কোষ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এ রোগ পুরোপুরি সারিয়ে তোলা যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
সাধারণত শৈশব কিংবা যৌবনের প্রথমভাগে মানুষের এই ধরনের ডায়াবেটিস দেখা দেয়। তারপর জীবনের বাকিটা সময় ইনসুলিন গ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের চলতে হয়।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী গবেষণাগারে ইঁদুরের দেহে স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সফলতা পেয়েছেন। এ পদ্ধতিতে মানুষের ক্ষেত্রে টাইপ১ ডায়াবেটিস চিকিৎসায় সফলতা আনা সম্ভব বলে তারা মনে করছেন।
গবেষণার বিস্তারিত তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে ইঁদুরের চামড়া থেকে কোষ সংগ্রহ করা হয়, যাকে ‘ফাইব্রোব্লাস্ট’ বলা হয়। এরপর এসব কোষের জিনবিন্যাসে পরিবর্তন ঘটিয়ে এন্ডোডার্ম কোষে রূপান্তর করা হয়। সেগুলোর আরো রূপান্তর ঘটিয়ে প্রাথমিক অগ্ন্যাশয় কোষের মত করা হয়, যাকে পিপিএলসি বলা হয়। এই পিপিএলসি ইনসুলিন নিঃসরণকারী বিটা সেলে পরিণত হয় কি না সে পরীক্ষা করে সফল হন বিজ্ঞানীরা।
এরপর রক্তে উচ্চ মাত্রার গ্লুকোজ সম্পন্ন ইঁদুরের দেহে পিপিএলসি প্রবেশ করানো হয়। এর সপ্তাহখানেক পরে ওই ইঁদুরের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসে।
গবেষক দলের সদস্য কে লি বলেন, ‘স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের এক সপ্তাহের মধ্যেই ইঁদুরগুলোর ‘সুগার লেভেল’ কমতে থাকে।
ধীরে ধীরে সাধারণ মাত্রায় চলে আসে। তখন আমরা প্রতিস্থাপিত কোষটি বের করে নিয়ে আসি। এরপর আবারো দ্রুত গ্লুকোজ বাড়তে থাকে।’
কে লি বলেন, ‘পিপিএলসি প্রতিস্থাপনের আট সপ্তাহের মাথায় এগুলো পুরোপুরি ইনসুলিন নিঃসরণকারী বিটা সেলের মতো কাজ করতে থাকে।’
এভাবেই মানুষের ক্ষেত্রেও ডায়াবেটিস নিরাময় সম্ভব বলে তারা মনে করছেন।

আরও পড়ুনঃ   এন্টি এজিং কী বাস্তবসম্মত?

এনার্জি ড্রিংক খাবেন না যে ৫ কারণে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten + 1 =