আঁচিল দূর করার উপায়
ত্বকের অত্যন্ত বিব্রতকর একটি সমস্যার নাম হচ্ছে আঁচিল। এই আঁচিল সাধারণত হতে দেখা যায় গলায়, স্তন বা শরীরের স্পর্শকাতর ভাঁজে, আঙুলের ভাঁজে, চোখের পাতায় ইত্যাদি স্থানে। অনেকে আঁচিল দূর করতে হোমিওপ্যাথি খেয়ে থাকেন। তবে সেটা বেশ সময় সাপেক্ষ এবং আঁচিল এতে বেড়েও যায় অনেক ক্ষেত্রে। চলুন, আজ জেনে নিই নিরাপদ উপায়ে দ্রুত আঁচিল দূর করার ৩টি অত্যন্ত কার্যকরী উপায়। এই উপায় গুলোতে আঁচিল দূর করতে আপনার কোন কষ্টই হবে না।
১) অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
অথবা এক টুকরো তুলায় অ্যাপল সিডার ভিনেগার নিয়ে আঁচিলের উপর রেখে ব্যান্ডেজ করে রাখুন। এভাবে প্রায় ১ ঘণ্টার মতো রাখতে হবে। প্রতিদিন ব্যবহার করুন যতদিন না আঁচিল দূর হয়।
Apple Cider Vinegar
০৩. ৫% আয়োডিনঃ
সকালে এবং রাতে এক ফোটা করে লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে রাখুন। ১ সপ্তাহের মধ্যেই আঁচিল উঠে আসবে।
২) ক্যাস্টর ওয়েল ও বেকিং সোডা
৪) রসুন
আধা কোয়া রসুন আঁচিলের উপর রেখে সারারাত ব্যান্ডেজ করে রাখুন। কিছুদিন পর আঁচিল রিমুভ হবে।
৫) কলার খোসা
কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের উপর রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে।
আঁচিল রোগটির মূল কারণ ভাইরাস। আঁচিল হলে অনেকে কড়া ভেবে কাটতে শুরু করেন। ফলে ভাইরাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। নতুন আঁচিল দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কখনো কাটা অংশে জীবাণু সংক্রমণ হয়ে সেপটিকও হয়ে যেতে পারে। কাজেই রোগীর আঁচিল ও কড়ার মধ্যে পার্থক্যটা বুঝে নেওয়া জরুরি। কড়ার ওপর আঙুল রেখে চাপ দিলে খুব ব্যথা লাগবে। কিন্তু আঁচিল হলে এতে চাপ দিলে বিশেষ ব্যথা লাগে না। বেশি ব্যথা লাগে দুই পাশ থেকে চেপে ধরলে।
অনেকে আঁচিলের গোড়া শক্ত করে চুল দিয়ে বেঁধে রাখেন, যাতে আঁচিলের মধ্যে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়ে আঁচিল খসে পড়ে যায়। এমন করা মোটেও ঠিক নয়। চুন বা কস্টিক সোডাও লাগান অনেকে। এ কারণে সেপটিক হয়ে অবস্থা ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে। আঁচিল খুঁটবেন না বা বেশি ঘষাঘষি করবেন না। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে।
চিকিৎসা হিসেবে স্যালিসাইটিক অ্যাসিড বা ল্যাকটিক অ্যাসিড মেশানো দ্রবণ আঁচিলের ওপর লাগানো যেতে পারে। এতে না কমলে ইলেকট্রোক্টারি বা ক্রায়োক্টারি করে তাকে নির্মূল করা হয়। যৌনাঙ্গের আঁচিল থেকে যৌন সংক্রমণের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং খুব দ্রুত চিকিৎসা না নিলে পরবর্তীকালে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।