ব্যায়াম নয়, পেটের বাড়তি মেদ সহজে কমাবে এই খাবারগুলো!

0
601
পেটের মেদ

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকুক অথবা না থাকুক, কমবেশী সকলের একটি সাধারণ সমস্যা দেখা যায়। সেটা হলো পেটের বাড়তি মেদ। বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেললেও পেটের মেদ যেন কমতেই চায় না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বলা হয়ে থাকে যে সঠিক ও নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করা না হলে পেটের মেদ একেবারেই কমবে না।

পেটের এই বাড়তি ও বিরক্তিকর মেদকে কমাতে সাহায্য করবে কিছু পরিচিত ও খুব সাধারণ খাদ্য উপাদান। আজকের ফিচার থেকে জেনে নিন তেমন দারুণ কিছু খাদ্য উপাদানের নাম সমূহ।

গরম পানি

সকালে খালি পেটে গরম পানি পান করার ফলে শরীরে জমে থাকা বাড়তি মেদ ভেঙে যাওয়া শুরু হয়। এতে করে বাড়তি ওজন ও পেটের মেদ দ্রুত কমতে শুরু করে।

গরম পানি ও মধু

বিশেষ করে পেটের মেদের জন্য গরম পানি ও তাজা লেবুর রস মিশিয়ে পান করা সবচাইতে উপকারী। প্রথমত গরম পানি মেদ কাটতে সাহায্য করে, এর সাথে ভিটামিন-সি যুক্ত লেবুর রস যোগ করলে সেটা পেটের মেদ কমাতে বেশী কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

মধু

ওজন বা পেটের মেদ কমাতে চাইলে মিষ্টি কিছু খাওয়া যাবে না একেবারেই, এটা ভুল ধারণা। বরঞ্চ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক চা চামচ পরিমাণ মধু রাখলে সেটা মেদ দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।

টমেটো

জানেন কী, পেটের জেদি মেদ কমানোর ক্ষেত্রে কোন খাদ্য উপাদানটি সবচাইতে বেশী কার্যকরী? একদম প্রাকৃতিক সবজী টমেটো ও টমেটো রস। মাত্র সাড়ে নয় আউন্স টমেটোর রস নারীদের কোমরের ৫০ শতাংশ মেদ কমাতে সাহায্য করে থাকে।

আদা

আদা হলও আরেকটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা পেটের মেদ কমানোর জন্য এবং পেটের ফোলাভাব কমানোর ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে।

এলাচ

এলাচ হলো বেশ উচ্চমাত্রার কার্যকরী মেডিসিনাল ঔষুধি উপাদান। এলাচে রয়েছে মেটাবোলিজম বৃদ্ধিকারি উপাদান, যেটা শরীরে মেটাবোলিজম বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এলাচ নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীর ও পেটের মেদ দ্রুত কমে যাওয়া শুরু করে।

আরও পড়ুনঃ   সুস্থ থাকতে রোজ সাইকেল চালান

দারুচিনি

বেশকিছু গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, দারুচিনি গুঁড়ো পেট ও কোমরের মেদ কমাতে সাহায্য করে থাকে। এক কাপ গরম পানির সাথে এক চা চামচ পরিমাণ মধু ও এক চা চামচ পরিমাণ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে লক্ষণীয় ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

বাড়তি ওজন কমানোর জন্য অন্যান্য সকল উপাদানের মাঝে অন্যতম হলো অ্যাপল সাইডার ভিনেগার। প্রতিদিন এক চা চামচ পরিমাণ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এক গ্লাস পরিমাণ পানিতে মিশিয়ে পান করলে পেটের মেদ তো বটেই, শরীরের বাড়তি মেদও কমে যাবে অনেকটা।

কাজুবাদাম

খাদ্যাভ্যাসে অনেক বেশি পরিমাণে আঁশযুক্ত খাদ্য উপাদান রাখার চেষ্টা করা প্রয়োজন। এতে করে মেদ কমতে সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে পেটের বাড়তি মেদের ক্ষেত্রে এটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক খাদ্য আঁশ। যে কারণে নিয়মিত ৭-৮ টি কাজুবাদাম খেলে প্রতিদিনের ১৪ শতাংশ খাদ্য আঁশের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।

তরমুজ

মৌসুমি এই ফল পছন্দ নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। মিষ্টি স্বাদের এই ফলের প্রায় ৮০ শতাংশই হলো পানি। গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, প্রতিদিন দুই গ্লাস পরিমাণ তরমুজের রস খাওয়ার ফলে বাড়তি ওজন দ্রুত কমে থাকে। যার প্রভাবে পেটের বাড়তি মেদ কমাতেও সাহায্য করে থাকে।

শসা

ওজন ও মেদ কমানোর চেষ্টার শুরু থেকেই শসা হল প্রধান খাদ্যবস্তু, যা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি। প্রাকৃতিক ও সবুজ এই সবজী জাতীয় খাদ্য উপাদান মেটাবোলিজমের হার বৃদ্ধিতে এবং ক্যালোরির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে থাকে। পুরো একটি শসাতে থাকে মাত্র ৪৫ ক্যালোরি!

আপেল

ফলের মাঝে আপেল হলো সবচাইতে উপকারী স্বাস্থ্যকর একটি ফল। বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে আপেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। একইভাবে পেটের মেদ কমানোর জন্যেও উপকারী ও কার্যকরী দারুণ স্বাস্থ্যকর ও ভিটামিন-সি যুক্ত এই ফলটি।

আরও পড়ুনঃ   ওজন কমাতে জাপানি পানি থেরাপি

-ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা

সূত্র: Boldsky

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 − three =