ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে কোন কোন খাবার?

0
2101
ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার

বর্তমানে নানা ব্যস্ততায় আমরা নিজেদের শরীরের দিকে নজর দিতে পারি না৷ দিন দিন এই অবহেলাই শেষমেশ বিপদের দিকে টেনে নিয়ে যায় আমাদের৷ এরকমই এক বিপদের নাম ক্যানসার! ক্যান্সার যে একটি ‘মরণ ব্যাধি’ এটা কারোরই অজানা নয়। বিশ্বব্যাপী পরিচালিত অনেক গবেষণা অনুযায়ী বলা হয় ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে হলে ২ ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে। প্রথমত, ডায়েট ও দ্বিতীয়ত, ব্যায়াম। গবেষকরা বলেন, কিছু নির্দিষ্ট খাবারের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধের গুন রয়েছে। সেগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব। আসুন জেনে নিই প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় কোন কোন খাদ্য যোগ করলে ক্যান্সারের হাত থেকে আপনি নিজেকে ও নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে পারবেন।

বেরিঃ ক্যান্সার প্রতিরোধে যে খাবারগুলো তালিকা করা হয় তার মধ্যে বেরিস শীর্ষে। রাস্পবেরি, ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি এবং স্ট্রবেরির মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা। ‘পটেরস্টিলবেন’ নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেরিকে দেয় ক্যান্সার প্রতিরোধের এই ক্ষমতা। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মৌসুম অনুযায়ী বেরি রাখা অত্যন্ত জরুরী দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলার জন্য।

পালং শাক: শরীর সুস্থ রাখার জন্য সবুজ শাকসবজির জুরি নেই। পালং শাকও এর ব্যতিক্রম নয়। এর মধ্যে আছে লুটেইন, জেয়াক্স্যান্থিন এবং বেটা ক্যারোটিন। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো আমাদের শরীরকে ক্যান্সারের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

জাম্বুরাঃ জাম্বুরা, কমলালেবু , ব্রোকলি এই সব কিছুতে রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি ক্যান্সার হওয়ার জন্য দায়ী নাইট্রোজেন যৌগের গঠন রোধ করে। জাম্বুরা, কমলালেবু, ব্রকলী এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যান্য ফল খাদ্যনালী, মূত্রাশয়, স্তন ক্যান্সার, সার্ভিকাল ক্যান্সার, এবং পেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি রাখুন।

 রসুন: অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যারা রসুন খান তাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এটি ক্যান্সারের জীবাণু প্রতিরোধ করে। এমনকি কিছু ক্যান্সারের জীবাণু ভেঙ্গে ফেলে। তাই প্রতিদিন একটি খোয়া রসুন খান, এটি আপনার ভেতরের ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করবে।

গ্রিন টি: গ্রিন টি বা সবুজ চা ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক উপকারী। এই সবুজ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটচীন নামক উপাদান থাকে, যা বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। গবেষণায় আরো দেখা গেছে গ্রিন টি টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে থাকে। সাধারণ চায়ের চেয়ে গ্রিন টি বেশি উপকারী। তাই চা না খেয়ে গ্রিন টি বা সবুজ চা খেতে পারেন।

হোল গ্রেইন বা দানাশস্য: ক্যান্সার প্রতিরোধকারী ৫ টি খাবারের মধ্যে প্রথমেই রাখতে পারেন সবার পরিচিত হোল গ্রেইন (Whole Grain) বা দানাজাতীয় খাদ্যশস্য। খাদ্যআঁশ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এরা ক্যান্সারের প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া এই খাবারের গ্লাইসেমিক সূচকও অনেক কম থাকে।

গাজর: গাজর অনেক পুষ্টিগুণ ও ভিটামিনে ভরপুর খাদ্য। আর এই গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারটিন আছে যা বিভিন্ন ক্যান্সার যেমন ফুসফুস ক্যান্সার, শ্বাসনালী ক্যান্সার, পাকস্থলী ক্যান্সার, অন্ত্র ক্যান্সার এমনকি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিন একটি গাজর বা এক গ্লাস গাজরের রস পান করলে এই সকল ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ   ১৪ ধরনের ক্যান্সার ও ১৩ রকম সংক্রমণ ঠেকাবে রসুন

মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলু বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। গবেষণায় দেখা যায় উচ্চ মাত্রায় বিটা ক্যারোটিন শরীরে থাকলে তা কোলন, স্তন, পেট ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় আরও প্রমানিত হয়, যে মহিলারা মিষ্টি আলুর মত বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ সবজি তাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখেন তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক কমে যায়।

টমেটো: টমেটো এক প্রকারের ফল, আবার অনেকে একে সবজি বলে কারণ এতে বীজ আছে তাই। কিন্তু এতে মসলাদার সুগন্ধের জন্য সবজি হিসেবেও ব্যবহৃত হয় বেশি। টমেটো ফল না সবজি সেটা কোন বিষয় না। টমেটো হচ্ছে “নিউট্রিশনাল পাওয়ার হাউজ” যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। টমেটোতে লাইকোপেন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে থাকে। টমেটোতে ভিটামিন এ, সি, এবং ই থাকে যা কিনা ক্যান্সার বান্ধব মৌলের শত্রু। টমেটোর রস ক্ষতিকর ডিএনএ এর কোষ নষ্ট করে ফেলে। তাই সপ্তাহে ২ থেকে ৩ টি টমেটো খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।

বাদাম: বাদামে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। আর হৃদপিণ্ডের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাট থাকে বাদামের মধ্যে। যদি আপনি ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কযুক্ত ক্ষুধাহীনতায় ভুগে থাকেন অথবা ওজন কমাতে চান তাহলে বাদাম সবচেয়ে ভাল, কারণ অল্প পরিমাণ বাদাম আপনাকে অনেক পরিমাণ পুষ্টি প্রদানে সক্ষম। বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকার পাশাপাশি পটাশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন ই থাকে। এছাড়াও কিছু প্রোটিন ও ফাইবারও থাকে। আখরোট প্রদাহ রোধী ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিডের চমৎকার একটি উৎস। কিছু গবেষণায় জানা গেছে যে, সাপ্লিমেন্টের চেয়ে খাদ্য থেকে এই পুষ্টি উপাদানটি শোষণ করা ভালো। বাদামে সেলেনিয়াম নামক অ্যান্টি ক্যান্সার উপাদান বিদ্যমানের কারণে কোলন, ফুসফুস, যকৃত, এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। তাই সকালে কিংবা বিকালের নাস্তায় চিনাবাদাম রাখতে পারেন। এ ছাড়াও বাদামের মাখনও আপনার শরীরকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে পারবে।

চাঃ
চায়ে রয়েছে ক্যাটচীন নামক একটি যৌগ। এই যৌগটি মানবদেহকে ক্যান্সারের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সম্প্রতি চীনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা চা পান করেন তাদের ফুসফুস, প্রস্টেট, কোলন এবং স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যারা চা পান করেন না তাদের থেকে অনেক কম। চায়ের মধ্যে সবুজ চা (গ্রিন টী) ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য সব থেকে কার্যকরী।

হলুদ: আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি এক গবেষণায় বলা হয়েছে হলুদে ‘কারকিউমিন’ নামক উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। প্রতিদিন কাঁচা হলুদের দুধ, বা মাছ ও মাংসের মত তরকারিতে প্রয়োজন মত হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ক্যান্সার কোষকে শরীরের ভাল কোষকে নষ্ট করতে বাধা দেয় এবং ক্যান্সার কোষকে নিস্তেজ করতে সাহায্য করে। সুতরাং নিয়মিত খাদ্যের মধ্যে হলুদ খেতে চেষ্টা করবেন।

আরও পড়ুনঃ   বহু গুণের ফল ডুমুর, জেনে নিন দারুণ সব উপকারিতা!

ভিটামিন-সি যুক্ত ফল: আঙ্গুর, কমলা, ব্রকলি, লেবু ইত্যাদি ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।

ফুলকপি বা ব্রকলি: ফুলকপি ও ব্রকলি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ একটি সবজি। ফুলকপি, বাধাঁকপির মত ব্রকলি একটি আঁশযুক্ত সবজি যা শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। এছাড়া গ্যালাকটোজ উপাদান অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার দূর করতে অনেক সহায়ক। ব্রকলির সালফোরোফেন, ইনডোলস উপাদান ফুসফুস,  ব্লাডার,  লিমফোমা ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে আরও রয়েছে বিপুল পরিমাণ ক্যান্সার ফাইটিং ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস।

ডালিমঃ ডালিমে রয়েছে ‘এলাজিক অ্যাসিড’। এই এলাজিক অ্যাসিড শরীরে ক্যান্সারের জন্য দায়ী যৌগকে নিস্ক্রিয় করে ও ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি বন্ধ করে। যেকোনো উপায়ে পরিবারের সবাইকে আজকে থেকেই ডালিম বা ডালিম জাতীয় ফল যেমন বেদানা খাবার জন্য উৎসাহী করুন। সালাদ, জুস, মিল্কশেক অথবা সরাসরি যেকোনো উপায়ে ডালিম খেতে পারেন সবাই।

তরমুজ: ফলের মধ্যে তরমুজ অনেক উপকারী। এই তরমুজের এক টুকরাতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রতিদিনের চাহিদার ৮০% ভিটামিন সি, ৩০% ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন বিদ্যমান থাকে। তাছাড়া তরমুজেও লাইকোপেন থাকে যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। বর্তমান এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ফল ও শাকসবজিতে ফুসফুস, মুখের, খাদ্যনালীর এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকির মুক্তি পাওয়া যাবে।

সবুজ শাক: সবুজ শাক ফাইবার, ফোলেট, ক্যারোটিনয়েড ও ফ্লেভনয়েডের চমৎকার উৎস। এই যৌগ গুলোর বেশীর ভাগেরই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপকারিতা আছে যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। ফলে ক্যান্সারের প্রতিরোধে সবুজ শাক অনেক উপকারী। তাছাড়া Lutein and zeaxanthin নামক ক্যারোটিনয়েড চোখের প্রতিরক্ষার কাজ করে এবং মেকুলার ডিজেনারেশন এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যার কারণে অন্ধতার সমস্যা হতে পারে। ফলে বেশি বেশি করে সবুজ শাক সবজি খাওয়া ভাল।

পেঁয়াজ: নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। পুষ্টিবিদদের মতে পিঁয়াজেরও রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান যা টিউমারের বেড়ে ওঠাকে বিলম্বিত করে। সুতরাং রান্নার ক্ষেত্রে পিঁয়াজ অনেক উপকারী।

মাশরুম: আধুনিক খাবার হিসেবে বাংলাদেশে মাশরুমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটছে। যে-সকল ব্যক্তি মাশরুম সংগ্রহ করে খায়, তারা মাইকোফেজিস্টস বা ‘মাশরুম খাদক’ হিসেবে পরিচিত। মাশরুম খোঁজার প্রক্রিয়াকে সাধারণত: মাশরুমিং বা মাশরুম শিকারি নাম বলা হয়। মাশরুমে রয়েছে  ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান। এছাড়াও রয়েছে পুষ্টি ও ভেষজগুণ যা রোধ করবে ক্যান্সার।

আরও পড়ুনঃ   দেশেই নিউক্লিয়ার টেকনিকে ধ্বংস হবে ক্যান্সার কোষ

ডালিম বা বেদানা: ডালিম দেহের শ্রেষ্ঠতম হিতকর ফল। এ ফল কোষ্ঠ রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। গাছের শিকড়, ছাল ও ফলের খোসা দিয়ে আমাশয় ও উদরাময় রোগের ওষুধ তৈরি হয়। ইহা ত্রিদোষ বিকারের উপশামক, শুক্রবর্ধক, দাহ-জ্বর পিপাসানাশক, মেধা ও বলকারক, অরুচিনাশক ও তৃপ্তিদায়ক। ডালিমের ফুল রক্তস্রাবনাশক। ডালিমে বিউটেলিক এসিড, আরসোলিক এসিড এবং কিছু আ্যলকালীয় দ্রব্য যেমন- সিডোপেরেটাইরিন, পেপরেটাইরিন, আইসোপেরেটাইরিন, মিথাইলপেরেটাইরিন প্রভৃতি মূল উপাদান থাকে। এই ফলটি বিভিন্ন রোগ উপশমে ব্যবহার হয়। এছাড়া বেদানায় ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদানের পাশাপাশি এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টিইনফ্লামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

কালো চকলেটে: কালো চকলেটেও রয়েছে এন্টি ক্যান্সার প্রপার্টি। ডার্ক চকলেটের পলিফেনলস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। তাছাড়া কালো চকলেট বা ডার্ক চকলেট নিয়ে একাধিক গবেষণায় বিশেষজ্ঞগণ দেখেছেন কালো চকলেট রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়, রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে এবং রক্তনালী কোমল রাখে তাই হার্টের জন্য ভালো। তবে অধিক চকলেট খাওয়া যাবে না।

সি ফিস বা সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় ও কার্যক্ষম রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হৃদযন্ত্রের রিদমকে দ্রুততর করে, ধমনীতে চর্বি জমার মাত্রাকে কমিয়ে দেয়, ধমনীতে পুরনো প্রদাহকে ঠাণ্ডা রাখতে এবং রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক। গবেষকেরা জানিয়েছেন হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য প্রতি সপ্তাহে একজন মানুষের ১৭৫০ মিলিগ্রাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড দরকার পড়ে। আর এই সামুদ্রিক মাছের মধ্যে বিদ্যমান থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাট এসিড যা প্রদাহ প্রতিরোধ করে ফলে দেহের ক্যান্সারের রূপ নিতে বাধা দেয়।

খেজুর: ক্যান্সার প্রতিরোধ অবাক হলেও সত্য খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এক গবেষনায় দেখা যায় খেজুর পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আর যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যান্সারের ঝুঁকিটা কমে যায় অনেকখানি।

আদা: এর মধ্যে জিঞ্জারল ও জিঞ্জারন সহ বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের কার্সিনোজেনিক উপাদান থেকে সুরক্ষিত রাখে।

এছাড়াও বীজ, দই,  বাঁধাকপি ইত্যাদির ও ক্যান্সার বিরোধী কার্যকারিতা আছে। তাই আমাদের সকলের উচিত নিয়মিত এই খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় যেন রাখি।

ক্যান্সার যে কতো মারাত্মক রোগ সেটা আমরা না বললেও চলবে। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে আর আমরা কিছুই করতে পারছি না। আর যেভাবে বাংলাদেশে ক্যান্সারের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে সেক্ষেত্রে শীঘ্রই কোনো ব্যবস্থা না নিলে পরিণাম হবে ভয়াবহ। ক্যান্সারের চিকিৎসা বের করা হলেও এটি প্রতিরোধ করাই হবে মোক্ষম উপায়। সেই প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য উপরের খাবারই যথেষ্ট।

আরও পড়ুনঃ  ক্যান্সার ডেকে আনছে কোন ৫ খাবার?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 1 =