১৪ ধরনের ক্যান্সার ও ১৩ রকম সংক্রমণ ঠেকাবে রসুন

0
519
ক্যান্সার , সংক্রমণ , রসুন

এমনিতে তরিতরকারি বা রান্না করা অনেক খাবারেই মশলা হিসেবে রসুন অপরিহার্য হলেও গন্ধ ও স্বাদের কারণে কাঁচা রসুনের ভক্ত প্রায় কেউই নন। তবে কাঁচা রসুনের অনন্য গুনের কথা জানলে ভক্ত হয়ে যাবেন নিশ্চিত!

কয়েকশ’ বছর ধরে নানারকম রোগে, এমনকি ক্যান্সারের চিকিৎসাতেও রসুন ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। প্রাচীন আমলের গ্রিক স্বাস্থ্যবিদ হিপোক্রেটিস (খৃস্টপূর্ব ৪৬০-৩৭৭) জানিয়ে গেছেন, সর্বকালের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী রোগ ক্যান্সার নির্মূল করতে কেবল প্রচুর পরিমাণ রসুন প্রয়োজন।

রসুন একটি দারুণ কার্যকরী সবজি এবং স্বাস্থ্যরক্ষায় এর উপকারিতা বলে শেষ করার নয়। ক্যান্সার ছাড়াও নানারকম রোগ ও সংক্রমণ প্রতিরোধ করে রসুন।

পাকস্থলীতে হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, ক্যান্ডিডা ছত্রাকের সংক্রমণ, দেহে নানারকম বিষাক্ত বা দূষিত উপাদান (টক্সিফিকেশন), মাইকোটক্সিন স্ট্যাফিলোককাস অরিয়াস, প্রাণঘাতী রোগ এইডসের বাহক ভাইরাস এইচআইভি’র সংক্রমণ, যক্ষ্মা, নানারকম ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ, হার্পস সিমপ্লেক্স এবং অন্যান্য অসংখ্য প্রদাহ প্রতিরোধে রসুনের অবদান অনন্য।

যদি ক্যান্সারের চিকিৎসায় রসুন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে পাঁচ থেকে ছয়টি করে রসুনের কোয়া খেতে হবে রোগীকে। প্রতিবার এই পরিমাণ রসুন গ্রহণের আগে রসুনের কোয়াগুলো বেটে বা ভর্তা করে বা ছোট টুকরো করে কেটে ১৫ মিনিট রেখে তবেই খেতে হবে। এতে এই সময়ে ক্যান্সারবিরোধী শক্তিশালী উৎসেচক বা এনজাইম তৈরি হওয়ার সুযোগ পায়।

  কাঁচা অবস্থায় কিংবা রান্না করে খেতে পারেন রসুন। সকালের নাশতায়, দুপুরের খাবারে, স্যান্ডউইচের সঙ্গে, প্রিয় ফ্লেভারের সস বা মশলার সঙ্গে মিশিয়ে, যেকোনোভাবেই সুস্বাদু করে নিতে পারেন রসুনকে। তবে কখনোই খাবারের বিকল্প হিসেবে রসুন গ্রহণ করবেন না। গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, খাবারের বিকল্প হিসেবে রসুন গ্রহণ করলে তাতে ক্যান্সারবিরোধী উপাদানগুলো তৈরি হয় না।

দীর্ঘদিন ধরে রসুনের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে রয়েছে রসুনের ওপর গবেষণার হাজার হাজার বায়োমেডিক্যাল তথ্যভাণ্ডার, যা চমকে দেবে আপনাকে। রসুন ও এর উপকারিতার ওপর ভিত্তি করে চার হাজার ২৪৫টিরও বেশি গবেষণা রয়েছে মেডিলাইনে।

আরও পড়ুনঃ   অবিবাহিত ও ডিভোর্সিদের হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি: গবেষণা

এসব তথ্যের ওপর গবেষণার ফলাফল আরো বেশি চমকপ্রদ। জানা যায়, বিশেষ করে কার্ডিওভাস্কুলার বা হৃদরোগ সম্পর্কিত নানা জটিলতা ও ক্যান্সারসহ দেড় শতাধিক অসুখবিসুখ প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় রসুন দারুণ কার্যকরি।

রসুন একটি সস্তা, সহজলভ্য, নিরাপদ ও খাবারে স্বাদবর্ধক প্রাকৃতিক ঔষধ ও মশলাজাতীয় উপাদান। একে ‘জীবন বাঁচানো’ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং গুরুত্বের দিক থেকে এটি স্বর্ণের চাইতে কিছু কম মূল্যবান নয়।

তবে জেনে রাখুন, আপনার সুস্বাস্থ্য আপনার নিজেরই ওপর নির্ভরশীল। প্রকৃতির উপহারকে কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা শিখুন। তাহলেই তা আপনার জন্য একইসঙ্গে নিরাপদ ও উপকারী হয়ে উঠবে।

এনকে

ঘুমানোর আগে বালিশের নিচে শুধু এক কোয়া রসুন রাখুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen − eleven =