নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করে ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে। পাশাপাশি বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অভিযোগও জানানো যাবে।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬ তে বসানো স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্টল থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে কথা হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী প্রোগ্রামার মো. মনির হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, ১৬২৬৩ নম্বরে বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক ফোন করে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে তার কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন।
তিনি আরো বলেন, এই নম্বরে দেশের যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল সম্পর্কে কোনো অভিযোগ থাকলে তাও জানাতে পারবেন। কোনো নাগরিক কোনো হাসপাতাল সম্পর্কে অভিযোগ করতে এই নম্বরে ফোন করলে একজন ডাক্তার ফোনটি রিসিভ করবেন। এবং পরে সেই অভিযোগটি স্বাস্থ্য অধিদফতরে লিখিত আকারে সংরক্ষণ করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
এছাড়া এই নম্বরে ফোন করে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বেঁধে দেওয়া ফি পরিশোধ করতে হবে। তার বাইরে কোনো টাকা দিতে হবে না যোগ করেন তিনি।
কল চার্জ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই নম্বরে ফোন করে সেবা নিতে হলে বাড়তি কোনো ফি লাগবে না। শুধু বাংলাদেশে অন্যান্য অপারেটরে ফোন করলে যে রেটে কথা বলা যায় এই নম্বরে কথা বলতে সেই রেটেই টাকা খরচ হবে। ডাক্তার সেবা একদম ফ্রি। এর জন্য কোনো ফি দিতে হবে না।
শেয়ারড হেলথ কার্ড
মনির আরো জানান, নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদফতর অনলাইনভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা দিতে শেয়ারড হেলথ কার্ড কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে একজন নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি কার্ড ব্যবহার করা হবে। যেকোনো হাসপাতালে গেলে তাকে কাগজপত্র টানাটানি করে বারবার ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। যেকোনো এক হাসপাতালে তার ডেটা ইনপুট করলে তা তা সেন্ট্রালাইজড হয়ে সব হাসপাতালে চলে যাবে। ফলে তার কাছে শুধু তার কার্ডের নম্বর থাকলেই দেশের যেকোনো হাসপাতাল থেকে সে সেবা নিতে পারবে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, একজন রোগীর ওষুধের দরকার পড়লে সে হাসপাতালে ফার্মেসিতে গিয়ে তার কার্ডের নাম্বাটি বললেই তারা বুঝতে পারবেন তার কী কী ওষুধ লাগবে। তাছাড়া কাউকে অন্য কোনো হাসপাতালে রেফার করার প্রয়োজন পড়লে ওখান থেকে তার তথ্য রেফার করা হাসপাতালে চলে যাবে। তাকে সেখানে গিয়ে বাড়তি কোনো ঝামেলা করতে হবে না।
জানা যায় ২০৩০ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আপাতত ঢাকায় দুইটি, গাজীপুরের কালীগঞ্জের একটি ও টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে একটি হাসপাতালে আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে এর কার্যক্রম শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
–পরিবর্তন প্রতিবেদক