স্ট্রেস কাটাতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে শুরু হোক বছর: স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

0
611
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: ২০২০-তে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস দিয়েই আমরা স্ট্রেস কাটিয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নিতে পারি। শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার ও ইতিবাচক ভাবনা এ ক্ষেত্রে আমাদের মূলমন্ত্র। কারণ, জীবন তো একটাই। স্ট্রেসের মধ্যে সেটা কাটানোর মানে হয় না।’ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরাও এই সুরে সুর মিলিয়ে বলছেন, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে স্ট্রেস কাটানো দিয়েই নতুন বছর ও নতুন একটা দশক শুরু হোক।

প্রকাশ অনেক রকম। তবে তার পিছনে কারণ একটাই। পেটব্যথা থেকে মাথাব্যথা, অকাতরে ঘুম থেকে অনিদ্রা, খিদে না-হওয়া থেকে খাই খাই ভাব— বহু ক্ষেত্রেই কারণ স্ট্রেস। এই ছোট একটা শব্দই এখন জীবনের অনেকটা জায়গা দখল করে রেখেছে। স্ট্রেস মানে সোজা বাংলায়, মানসিক চাপ। স্ট্রেস কাটাতে অনেকেই মদ্যপান বা ধূমপান করেন। কেউ আবার পটাপট একটার পর একটা মিষ্টি খেয়ে নেন কিংবা কখনও ওই চাপের চোটেই খেয়ে ফেলেন অনেকটা পোট্যাটো চিপ্‌স। কিন্তু এ সবের ফলে স্ট্রেস সাময়িক কমলেও আখেরে বেড়ে যায় বলে বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই বক্তব্য। তাই, এই ভাবে স্ট্রেসের কাছে আত্মসমর্পণ না-করে যদি নতুন বছরে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে স্ট্রেস কমানোর অঙ্গীকার করা যায়?

অভিনেত্রী পাওলি দাম বলছেন, ‘২০২০-তে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস দিয়েই আমি স্ট্রেস কাটিয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার ও ইতিবাচক ভাবনা এ ক্ষেত্রে আমার মূলমন্ত্র। কারণ, জীবন তো একটাই। স্ট্রেসের মধ্যে সেটা কাটানোর মানে হয় না।’ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরাও পাওলির সুরে সুর মিলিয়ে বলছেন, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে স্ট্রেস কাটানো দিয়েই নতুন বছর ও নতুন একটা দশক শুরু হোক।

কর্মক্ষেত্রই হোক কিংবা অবসরকালীন দিনযাপন, ঘরকন্নাই হোক বা পড়াশোনা— স্ট্রেস থেকে যেন নিস্তার নেই। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু জানাচ্ছেন, স্ট্রেস হল অত্যন্ত স্বাভাবিক এক মানবিক প্রতিক্রিয়া এবং এর পুরোটা যে আমাদের খারাপ করে, তেমনটা মোটেও নয়। বিশিষ্ট নিউরো সাইকিয়াট্রিস্ট সব্যসাচী মিত্র বলছেন, ‘স্ট্রেসের দু’টি ভাগ রয়েছে। ইউসস্ট্রেস ও ডিস্ট্রেস। ইউসট্রেস কিন্তু আদতে পারফরম্যান্স বাড়াতেই সাহায্য করে। বিপদ বাধায় অন্যটা।’ সব্যসাচীর কথায়, ‘ডিস্ট্রেস বেশি হলে মস্তিষ্কের ভিতরের একটি অংশে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়, বাড়তে থাকে আমাদের রক্তচাপ। এবং আমাদের উদ্বেগ হতে থাকে। যাকে বলা যায়, স্ট্রেসের প্রথম উপসর্গ। এই পরিস্থিতিতে মদ, মিষ্টি বা এই ধরনের খাবারের প্রতি মানুষের আসক্তি তৈরি হয়।’ আবার চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সব জিনিস শরীরে সুদূরপ্রসারী কুপ্রভাব ফেলে।

আরও পড়ুনঃ   হলুদের গুণে সেরে উঠলেন ব্লাড ক্যান্সারের রোগী!

কিন্তু ভালো অভ্যাস কি সত্যিই স্ট্রেস কমাতে পারে? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্সের সহকারী অধ্যাপক মৈনাক সেনগুপ্তর বক্তব্য, ‘এক জন ব্যক্তির উপর স্ট্রেস কতটা প্রভাব ফেলবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে জিনের বিন্যাসের উপর।’ কিন্তু বেড়ানো, সঙ্গীত, শরীরচর্চা— এ সব স্ট্রেস কমাতে কাজ করে।’ মানসিক রোগে যোগের প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন বেঙ্গালুরুর নিমহ্যানসের অধিকর্তা বিএন গঙ্গাধর। তাঁর কথায়, ‘নিয়মিত যোগাভ্যাসে স্ট্রেস কমে, বাড়ে মনঃসংযোগও।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen − 1 =