শরীর সুস্থ রাখতে মাছ খান

0
418
মাছ

নিত্যদিনের খাবারে কিছু না কিছু মাছ অবশ্যই থাকা উচিত। কারণ মাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরি।মাছ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার (১৫২৫ শতাংশ প্রোটিন), সেই সঙ্গে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড।মাছের তেলে থাকে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’।মাছের হাড়ে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ফ্লুরাইড। > প্রতি ১০০ মিলিগ্রাম মাছে আয়রণ থাকে ৭.৩ মিলিগ্রাম।

সামুদ্রিক মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়োডিন।

তাই একজন সুস্থ মানুষের ৩০৫০ গ্রাম, গড়ে ৪০ গ্রাম মাছ দৈনিক খাওয়া উচিত। মাছের তেল আমাদের হৃৎপিন্ডকে সজীব ও সচল রাখে। মাছের তেল ধূমপায়ীদের জটিলতা প্রশমনে ভূমিকা রাখে। মাছের তেলের ফ্যাটি এসিড সহজেই হজম হয়, যা আমাদের পাকস্থলী লিভারের জন্য স্বাস্থ্যপ্রদ। গোশতের তেল যেখানে মানুষকে চর্বিওয়ালা ও মোটা বানায়, সেখানে মাছের তেল বরং উপকারী। অনেকে শরীরে মেদ কমাতে ডায়েট কন্ট্রোল করেন। মাছে কোনো কার্বোহাইড্রেট থাকে না, তাই অবশ্যই খাবারের মেন্যু থেকে মাছ বাদ দেয়ার প্রয়োজন নেই। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’, ফসফরাস, ক্যালসিয়ামও এসব থাকার কারণে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার হাড়ের গঠনে শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে, চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে মাছ অবশ্যই উপকারী খাবার।

অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণে কিডনিতে পাথর হতে পারে

হাড় মজবুত রাখতে এবং হাড়ের অসুখের জন্য ক্যালসিয়াম খেতে বলা হয়। ক্যালসিয়ামের অভাবে অস্টিও ম্যালেশিয়া, রিকেটস এবং অস্টিও পোরেসিস হতে পারে। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে। ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কিডনির পাথরই ক্যালসিয়াম অক্সালেট। আর একবার কিডনিতে পাথর হলে বারবার পাথর হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। কিডনিতে একবার পাথর হলে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে নানা বিধিনিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন। বিশেষত ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটযুক্ত খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনের বেশি ক্যালসিয়াম শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করা দরকার। যাতে বাড়তি ক্যালসিয়াম অক্সালেট কিডনিতে জমতে না পারে। অ্যাসিডিক ইউরিনে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অ্যালকালাইন ইউরিনে এ সমস্যা হয় না। অক্সালিক এসিডযুক্ত খাবার যেমন পালং শাক, টমেটো, আমলকী, শসা, ফুলকপি, মাশরুম, বেগুন, কার্বোনেটেজ পানীয় যেমন কোক, চা, কফি ইত্যাদি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া দরকার। একেবারে খাবেন না সে কথা কিন্তু বলা হচ্ছে না। আর দুধ একেবারে না খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। যাদের পাথর হওয়ার প্রবণতা আছে তাদের রক্ত ও ইউরিন বা প্রস্রাব পরীক্ষা করে ক্যালসিয়ামের ডোজ ঠিক করা দরকার। আরেকটি কথা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ২ গ্লাস পানি পান করে ঘুমাতে যান এবং মাঝ রাতে প্রস্রাব করে আবার ২ গ্লাস পানি পান করে আবার ঘুমাতে যাবেন, কেন না কিডনির পাথরগুলো মাঝ রাতে তৈরি হয়। তাই এ নিয়মে পানি পান করা ভালো।

আরও পড়ুনঃ   টুথপেস্টের দিন শেষ!

ত্বকের লেজার চিকিৎসা

সাধারণত: লেজার চিকিৎসায় ত্বকের কালো জন্মদাগ, ফ্রি লেনটি জেন্সস, টাটটু রং, বিভিন্ন প্রকার আঁচিল, তিল, স্থিন ট্যাগ, সেবোরিক ক্যারোটোসিস, নিমূল করা হয়। এছাড়া ত্বকের টিউমার, কিলয়েড, লাল জন্মদাগহেমান জিওমা, পোর্ট ওয়াইন স্টেইন, টেলামজিটেসিয়া, কিছু কিছু ব্রনের দাগ ও গর্ত, ত্বকের ফাটাদাগ ও নিরাময় করা হয়। মুখ ও দেহের অবাঞ্ছিত লোম স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হয়। তবে সংবেদনশীল ত্বক এবং গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে লেজার চিকিৎসা প্রযোজ্য নয়।

ত্বকে লেজার চিকিৎসার সুবিধার মধ্যে ব্যথা ও রক্তপাতবিহীন, সিলাইবিহীন কসমেটিক সার্জারী। রোগীকে অজ্ঞান করা লাগে না। ঐ দিনই সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি যেতে পারে। তবে এই চিকিৎসা ব্যয় বহুল এবং কয়েক মাস সময় লাগে। পরিশেষে মনে রাখতে হবে, ত্বকে লেজার চিকিৎসা সবার জন্য সমানভাবে উপযোগী বা কার্যকরি নয় এটি নির্ভর করে ত্বকের ধরন ও রোগের প্রকারের ওপর সেইজন্য লেজারের সঠিক চিকিৎসা পেতে অভিজ্ঞ চর্মরোগ লেজার বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন।

মাছ কেনায় কখনো ঠকবেন না, যদি…

ডা. সাদিয়া আফরিন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 5 =