মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ

0
517
মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ

সুস্বাদু সবজি মিষ্টি কুমড়া আমাদের অনেকেরই খুব প্রিয় সবজি। এটি দিয়ে ভাজি থেকে শুরু করে আচার, নিরামিষ, মাংস রান্না সব কিছুই করা হয়ে থাকে।

মিষ্টি কুমড়াতে ভিটামিন-এ, বি-কমপ্লেক্স, সি, ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক, ফ্লেভনয়েড পলি-ফেনলিক, অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট প্রভৃতি নানা উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই সুস্থতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত এই সবজিটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

জেনে নিন মিষ্টি কুমড়ার গুণাগুণ-

ওজন কমায়:
মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকলেও, খুব কম পরিমাণে রয়েছে ক্যালরি। এক কাপ কুমড়ার মধ্যে ৫০ থেকেও কম ক্যালরি থাকে। তাই এই সবজিটি খেলে ওজন বাড়ার কোন আশঙ্কা থাকে না।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে খুব ধীরে ধীরে সম্পন্ন করে। ফলে অনেকক্ষণ ক্ষিদে পায় না। এর ফলে যখন তখন ক্ষিদে পাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়। আর ক্ষিদে কম পেলে খাবারও কম খাওয়া হয়। ফলে অল্প দিনেই ওজন কমতে শুরু করে।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি:
মিষ্টি কুমড়ার রং সাধারণত কমলা বা হলুদ হয়। এর কারণই হলো মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে বিটা ক্যারোটিন থাকে। আর কুমড়া খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করার পর সেই বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ-তে পরিবর্তিত হয়ে যায়। আর ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য খুবই উপকারী।

প্রসঙ্গত, এক কাপ কুমড়ার মধ্যে প্রায় ২০০ শতাংশ পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ উপস্থিত থাকে, যা আমাদের দৈনিক ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। এছাড়া কুমড়োর মধ্যে লুটেইন এবং জিক্সান্থিন নামক দুটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও উপস্থিত রয়েছে, যা ছানির সমস্যাকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
মিষ্টি কুমড়া খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ কুমড়ার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ উপস্থিত রয়েছে, যা বিভিন্ন সংক্রমণ ঘটিত রোগ এবং জীবাণুর হাত থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। একটি কুমড়ার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ ভিটামিন সি থাকে, যার ফলে এটি খেলে ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি লাগার হাত থেকে দ্রুত নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব হয়।

আরও পড়ুনঃ   অশ্বগন্ধা কি, কেন, কিভাবে খাবেন এবং অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও অপকারিতা

ত্বকের জন্য উপকারী:
মিষ্টি কুমড়া ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকায় তা ত্বককে সূর্য রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। ত্বকের যত্নে কুমড়া দিয়ে বানানো ফেসপ্যাকও দারুণ উপকারী।

কিভাবে বানাবেন এই ফেসপ্যাক? একটি কাপের চার ভাগের এক ভাগ কুমড়া নিন। এরপর এর সঙ্গে একটি ডিম, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ দুধ মেশান। এরপর সবকটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরিবর্তনটা আপনি নিজেই টের পাবেন।

ক্যান্সারের প্রবণতা কমায়:
মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন চোখ এবং ত্বকের জন্য খুবই ভাল। তবে এর আরও একটি বড় গুণ রয়েছে, তা হল এটি ক্যান্সার রোগকে দূর রাখতে সাহায্য করে।

গবেষকদের মতে, নিয়ম করে কুমড়া খেলে বিশেষ ধরণের কয়েকটি ক্যান্সার খুব সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। যেমন- প্রোস্টেট এবং ফুসফুসের ক্যান্সার।

বিনা খরচে এলার্জিকে গুডবাই জানান আজীবনের জন্য!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen + 7 =