আজকাল পাউরুটি, বাটার নান, লুচি, পরোটার ভিড়ে রুটি যেন অনেকটাই অবহেলিত। কেননা রুটি মেলে না হোটেলে বা দোকানে, কষ্ট করে বানিয়ে নিতে হয় নিজেকেই। কিন্তু জানেন কি, এই হাতে গড়া রুটির আছে অত্যন্ত চমৎকার সব স্বাস্থ্য উপকারিতা। রুটিতে উপস্থিত ভিটামিন ই, ফাইবার ও সেলেনিয়াম শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। রুটির দ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। ওজন কমাতেও অত্যন্ত সহায়ক।
আঁশযুক্ত শস্য
লাল আটার রুটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। লাল আটায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান থাকে। লাল আটার রুটি পছন্দ না করলে সাদা আটার রুটিই খেতে পারেন। কারণ সাদা আটাতেও প্রচুর পুষ্টিগুণ আছে যা শরীরে শক্তি বাড়ায় এবং রক্ত চলাচল বাড়িয়ে শরীরকে সচল রাখে।
সহজে হজম হয়
অনেকেই আছেন যারা কিছু খেলেই হজম সমস্যায় ভোগেন। যারা সহজে কিছু হজম করতে পারেন না তাঁরাও সকালের নাস্তায় রুটি বেছে নিতে পারেন। কারণ রুটি আঁশযুক্ত গম দিয়ে তৈরি হয় এবং এটা সহজেই হজম করা যায়।
কোষ্ঠ্যকাঠিন্য কমায়
রুটির দ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। দ্রবণীয় ফাইবার পায়খানাকে নরম করে এবং সহজেই বের হতে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।
কম ক্যালোরি
রুটি ভাজতে কোনো তেল না ঘি লাগে না। শুধু মাত্র তাওয়ায় সেঁকেই রুটি তৈরি করে ফেলা হয়। ফলে রুটিতে অতিরিক্ত কোনো ক্যালোরি যুক্ত হয় না। যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা পরোটার বদলে সকালের নাস্তায় নিয়মিত রুটি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সঙ্গে মাংসের বদলে বেছে নিন সবজি ভাজি। তাহলে ওজন কমে যাবে সহজেই।
পুষ্টিকর
রুটি একটি পুষ্টিকর খাবার। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় রুটি রাখলে সারাদিন শরীরে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম রুটিতে আছে ১৭০ ক্যালোরি, ১.৫৫ গ্রাম ফ্যাট, ৩২.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৫.৮৪ গ্রাম প্রোটিন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
রুটিতে উপস্থিত ভিটামিন ই, ফাইবার ও সেলেনিয়াম শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রুটি রাখুন।
কোনটি খাবেন, ভাত না কি রুটি?
কোনটি আসলে ভালো, ভাত না কি রুটি – এ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। জেনে নিন ভাত এবং রুটি সম্পর্কে কিছু বিষয়, তারপর আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, ভাত খাবেন না রুটি?