সর্দি হলে যা করবেন

0
724
সর্দি হলে যা করবেন

শীতকাল আসি আসি করছে। রাত হলেই বাতাসে হিম হিম ভাব আসে। আর এ সময়ে বিনা নোটিশে হানা দেয় সর্দি, কাশি, জ্বর। এই সময়টাতে একটু অসচেতন হলেই ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হন কমবেশি সবাই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠাণ্ডা লাগা একধরণের ইনফেকশন। যা বিভিন্ন ধরণের ভাইরাসের কারণে হয়। আর এর কারণেই হয় মাথা ব্যথা, বাঁধাহীন নাকের পানি, খুশখুশে কাশি, হাঁচি, চোখ জ্বলা, গলা ব্যথা, গা ব্যথা।

তবে ঘরোয়া উপায়েই এমন টুকটাক রোগ বালাই সারানো যায়। তাহলে জেনে নিন উপায়গুলো:-

চিকেন স্যুপ
গরম গরম চিকেন স্যুপ এসময়ে দারুণ কাজ করে। যদিও এটি কোনো ওষুধ নয়। তবু, ঠাণ্ডা সারাতে ভালোই কাজ করে। পছন্দমত সবজির সঙ্গে চিকেন স্যুপ আপনার শরীরে নিউট্রোফিলের গতি কমিয়ে দেয়। এতে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা কমতে সাহায্য করে। এছাড়া স্যুপ শরীরের পুষ্টির যোগানসহ পানি শূন্যতাও দূর করে।

আদা
আদার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কে না জানে। আদার বহুমুখী উপকারিতা বিজ্ঞানে প্রমাণিত। গলা ব্যথা বা কাশির জন্য কয়েক টুকরা আদা নিন। গরম পানিতে সেদ্ধ করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১ গ্রাম আদা ঠাণ্ডাজনিত সর্দি কাশি কমাতে পারে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় আদা।

মসলা চা
আয়ুর্বেদিক নিয়মে সাধারণ ঠাণ্ডাজনিত রোগের জন্য মসলা চা খুবই উপকারি। কীভাবে বানাবেন মসলা চা?  কিছু জিরা, ধনিয়া, মেথি ভেজে গুড়া করে নিন। চাইলে এতে লবঙ্গ, এলাচও যোগ করতে পারেন। পানি গরম করে তাতে মসলার পাউডার দিয়ে একটা মিছড়ির টুকরো দিন। তিন থেকে চার মিনিট ফুটিয়ে নিন। হয়ে গেল মসলা চা। পান করুন গরম গরম।

মধু
মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। মধু ও লেবু দিয়ে চা পান করলে গলা ব্যথা উপশম হয়। কাশির সারাতেও মধুর কোনো তুলনা নেই। তবে এক্ষেত্রে শিশুদের মধু না খাওয়ানোই ভালো।

আরও পড়ুনঃ   আদা চা? আদা চায়ের এত উপকারিতা!

গরম পানির ভাপ
গরম পানির ধোঁয়াতে নিশ্বাস নিন। একটি বাটিতে ধোঁয়া ওঠা গরম পানি নিন। তাতে মাথা ঝুঁকিয়ে ধীরে ধীরে নিশ্বাস নিন। বন্ধ নাক, সর্দি ঝটপট সেরে যাবে। এছাড়া গরম পানিতে গোসলও করলেও আরাম পাবেন।

রসুন
রসুনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান ঠাণ্ডাজনিত রোগ বালাই সারাতে দারুণ কার্যকরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও রসুন উপকারি। শ্বাস কষ্টের সমস্যায় রসুন খেলে আরাম পাওয়া যায়। এছাড়া দেহের ক্ষতিকারক টক্সিন বের করতেও সাহায্য করে এটি।

নানাভাবে রসুন খাওয়া যায়। গরম পানিতে কয়েক টুকরো রসুন সেদ্ধ করে তাতে মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়া ভাতের সঙ্গে কাঁচা রসুন খেতে পারেন।

কালোজিরা
কালোজিরার থাকে এক ধরনের ঝাঁজালো উপাদান। যা মেনথলের মতোই কাজ করে। সর্দির সময় কালোজিরার ভর্তা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ সহজ ঘরোয়া উপায়ে বিদায় জানান সর্দিকাশিকে!  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 + 7 =