CT Scan, MRI কি এবং কেন

0
4250
সিটি স্ক্যান ও এম আর আই

CT Scan, MRI কি এবং কেন

CT Scan এবং MRI ( NMRI) Scan এই দুটি নামের সাথে আমরা অনেকেই কম বেশি পরিচিত। পরিচিত কিম্বা পরিবারের কারো অসুখে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক আর হাসপাতালে এই দুটির নাম আমরা দেখেছি ও শুনেছি অনেকবার। কিন্তু কি এই CT Scan, আর কিই বা MRI Scan? X-Ray কি সেটা আমরা ইতিমধ্যেই জানি, এর দ্বারা চিকিৎসা বিজ্ঞানে শরীরের বিভিন্ন অসুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ছবি নেওয়া হয়ে থাকে, এয়ারপোর্টে আমাদের মালপত্রের স্ক্যান হয় ইত্যাদি অনেক ব্যবহার হয়। CT এবং MRI এই দুটিও ছবি তোলার মাধ্যমেই আমাদেরকে দেয় X-ray থেকে আরও উন্নত মানের ছবি যাতে আমরা আরও বিবরনসহ আমাদের কাঙ্খিত বস্তু দেখতে পাই।


CT পুরো নামটি হচ্ছে Computed Tomography; মূলত এটি X-ray দিয়েই করা হয়, চিকিৎসা বিজ্ঞান ছাড়াও এর ব্যবহার হয় অন্যান্য অনেক বিষয়ের পরীক্ষানিরীক্ষায়। X-ray ছবি তোলার সময়ে ray পাঠানো হয় সরাসরি শরীরের মধ্যে দিয়ে এবং উলটো পারে থাকা ফিল্মের উপরে গিয়ে ছবি ওঠে। CT Scan সামান্য ভিন্ন ভাবে করা হয়, এখানে X-ray পাঠানোর সময়ে ray tube এবং x-ray film এই দুটির অবস্থান হেরফের করার মধ্যে দিয়ে শরীরের বিশেষ কিছু অংশের আরও পরিষ্কার ছবি আমরা পাই। স্বাভাবিক X-ray ছবি তোলার সময়ে ray tube, মানবদেহ কিম্বা x-ray ফিল্ম কোনোটিরই অবস্থান বদল করা হয়না। কিন্তু CT Scan করার সময়ে টিউব এবং ফিল্মের (ডিজিটাল সেন্সর) অবস্থানের পরিবর্তন এমনভাবেই করা হয় যাতে মানবদেহের কাঙ্খিত অংশটিই কেবল পরিষ্কার ভাবে ছবিতে ধরা দেবে, শরীরের অন্যান্য অংশ আবছা ভাবে দেখা দেবে। এই পরিষ্কার করা, আবছা করার ব্যাপারটা নির্ভর করে কিভাবে টিউব এবং ফিল্ম সেন্সরের অবস্থান পরিবর্তন করা হল তার উপরে। আধুনিক যুগের CT Scan হয় টমোগ্রাফিক রিকন্সট্রাকশান সফটওয়্যার দিয়ে, কমপিউটারের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল জিওমেট্রি প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে 3D ছবি আমরা পাই, সমস্ত algorithm প্রসেসিং হয় কমপিউটারের মাধ্যমে। আপনারা যারা এই যন্ত্র দেখেছেন, তারা নিশ্চয় জানেন যে এক্ষেত্রে একটি যন্ত্রাংশ বিভিন্ন দিকে ঘুড়ে ছবি তুলে নেয়। এর দ্বারা অনেকগুলি 2D x-ray ছবি নেওয়া হয়, সেইগুলিকে প্রসেসিং করেই পরে কমপিউটারের মাধ্যে তৈরি হয় 3D ছবি। CT Scan’এর নাম অনেক আগে ছিল EMI Scan, পরে তার নাম হয় CAT/CT Scan (CAT – computed axial tomography); এই স্ক্যান করার আগে রোগীকে নির্দিষ্ট মাত্রায় একটি রাসায়নিক ইঞ্জেকশান দেওয়া হয় যাকে বলে contast agent।
এবারে আসি MRI প্রসঙ্গে। Magnetic resonance imaging (MRI) বা Nuclear magnetic resonance imaging (NMRI) আরও সূক্ষ্ম ছবি তুলে নিতে সাহায্য করে। এর contrast power আরো বেশি হওয়ার ফলে শরীরের অত্যন্ত নরম টিস্যুগুলোর ছবিও এতে ধরা পড়ে অনেক স্বচ্ছতার সঙ্গে। এই স্ক্যান সাধারনভাবে ব্যবহার হয় নিউরোলজি, মাংসপেশী, হার্ট এবং ক্যানসারের ইমেজিংয়ের ক্ষেত্রে যেখানে ডাক্তারদের প্রয়োজন পড়ে মানবদেহের অনেক সূক্ষ্ম অংশের ছবি। CT Scan’এর মতো এক্ষেত্রে কোনো contrast agent দেওয়া হয়না। তবে, যদি ডাক্তাররা মনে করেন, তাহলে অতি অল্পমাত্রায় কিছুটা রাসায়নিক তারা দেন, তবে সেটা রক্তকনিকার রঙে সামান্য পরিবর্তন আনার জন্য। এক্ষেত্রে অতিশক্তিশালী চুম্বকশক্তি দিয়ে মানবদেহে জলের অস্তিত্বের হাইড্রোজেন কণাগুলিকে বিভিন্নভাবে এঙ্গেল করে ছবি নেওয়া হয়। রেডিও ফ্রিক্যোয়েন্সি দ্বারা এই এঙ্গেল নির্ধারন করা হয়ে থাকে। এই রেডিও ফ্রিক্যোয়েন্সি হাইড্রোজেন পরামাণুর উপর দিয়ে গেলে একটি ঘূর্ণায়মান চুম্বকশক্তির বলয় সৃষ্টি হয় যেটা এই স্ক্যানার ধরে ফেলার ক্ষমতা রাখে। নিঃসন্দেহে ব্যাপারটা অনেক জটিল, কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে ডাক্তাররা পেয়ে যাচ্ছেন মানবদেহের বিভিন্ন সূক্ষ্ম অংশের এমন এমন ছবি যা সাধারন দৃষ্টিতে দেখাই সম্ভব হবেনা। MRI স্ক্যানের বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে।

আরও পড়ুনঃ   এনজিওগ্রাম কি এবং কেন?

তাহমিনা

বিঃ দ্রঃ গুরুত্বপূর্ণ হেলথ নিউজ ,টিপস ,তথ্য এবং মজার মজার রেসিপি নিয়মিত আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে লাইক দিন আমাদের ফ্যান পেজ বিডি হেলথ নিউজ এ ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × four =