ভাবছেন কী আবল-তাবল বোকছি, তাই তো! কথাটা শুনতে যতই আজব লাগুক না কেন, এটি কিন্তু একেবারেই সত্যি ঘটনা! আমাদের রান্না ঘরে সব সময় এমন কিছু উপাদান মজুত থাকে, যেগুলি কাজে লাগিয়ে বাস্তবিকই হার্টকে সুস্থ রাখা সম্ভব। এখন যা পরিস্থিতি হয়েছে তাতে হার্টের খেয়াল না রাখলে কিন্তু বেজায় বিপদ। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিশ্বাস থাকুক, বা না থাকুক, এই প্রবন্ধে আলোচিত প্রাকৃতিক ওষুধটিকে একবার পরখ করে দেখুন। উপকার যে পাবেন, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকাশ করা সমীক্ষা রিপোর্ট ঘাঁটলেই জানতে পারবেন, গত কয়েক দশকে আমাদের দেশের কম বয়সি ছেলে-মেয়েদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে। তাই তো বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত ২৫-৫০ বছর বয়সি পুরুষ এবং মহিলাদের অতিরিক্ত সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে খেয়াল রাখবেন নিজের হার্টের? এক্ষেত্রে প্রথমেই জীবনযাত্রার দিকে নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে ডায়েট এবং শরীরচর্চার উপর গুরুত্ব দিলেই দেখবেন হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়। আজকাল কাজের চাপে যুবসমাজ সময়ই পান না নিজের খেয়াল রাখার। এই অবস্থায় প্রতিদিন এক্সারসাইজ করা বা ঠিক সময়ে খাবার খাওয়া যে তাদের কাছে বেজায় কটিন কাজ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই তো সারা বিশ্বের যুব সমাজের কাছে অনুরোধ, এই প্রবন্ধটি পড়ুন আর জেনে নিন হার্টকে ভাল রাখার সহজ একটি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। শরীরের পাঁচটি “ভাইটাল অরগ্যান”, হার্ট, ফুসফুস, কিডনি, মস্তিষ্ক এবং লিভারে প্রতিনিয়ত রক্ত সরবরাহ হওয়াটা খুব জরুরি। না হলেই মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। সেই কারণেই তো এই সব অঙ্গে রক্ত পৌঁছে দাওয়ার দায়িত্ব যেসব রক্তনালী বা আর্টারির হাতে রয়েছে তাদের সুস্থ থাকাটাও একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজে সাহায্য করতে পারে এই ঘরোয়া ওষুধটি। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে।
যে যে উপকরণগুলির প্রয়োজন পরবে:
১. পালং শাকের রস- হাফ গ্লাস
২. তিসি বীজ- ১ চামচ
এই ঘরোয়া ওষুধটি হার্টে রক্তসরবরাহকারি মূল আর্টারিকে চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি বাকি ভাইটাল অরগ্যান যাতে ঠিক মতো রক্ত পৌঁছে যেতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। তবে মনে রাখতে হবে, এই ওষুধটি নিয়মিত খেতে হবে এবং সেই সঙ্গে প্রতিদিন অল্প-বিস্তর শরীরচর্চা এবং কী খাবার খাচ্ছেন সেদিকে নজর দিতে হবে। যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে জাঙ্ক ফুড বা ভাজা জাতীয় খাবার বেশি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর একবার যদি কোলেস্টেরল বেড়ে যায়, তাহলে হার্টের সুস্থ থাকার সম্ভবনাও হ্রাস পায়। সেই কারণেই এই ধরনের খাবার একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। প্রসঙ্গত, পালং শাকে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। এই সবকটি উপাদানই শরীরের কোনও কোনও উপকারে লাগে। সেই সঙ্গে দেহে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে হার্টকে চাঙ্গা রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অপরদিকে, তিসি বীজে রয়েছে ফাইবার এবং ভিটামিন ই। এই দুটি উপাদান আর্টারিতে যাতে কোলেস্টেরল জমতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে যায়। ফলে রক্তনালীতে ময়লা জমে সারা শরীরে রক্ত প্রবাহে ব্য়ঘাত ঘটার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।
ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি:
১. একটা গ্লাসে পরিমাণ মতো উপাদানগুলি মেশান।
২. ভাল করে নারান মিশ্রনটি, যাতে দুটি উপাদান ঠিক মতো মিশে যেতে পারে।
৩. প্রতিদিন ব্রেকফাস্টের পর এই পানীয়টি খাওয়া শুরু করুন। টানা ২ মাস খেলেই দেখবেন উপকার পেতে শুরু করেছেন।
সূত্রঃ বোল্ডস্কাই