সৌন্দর্য চর্চা ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চন্দনের গুঁড়া!

0
328
চন্দনের গুঁড়া

প্রাচীন কালে রূপ চর্চার অন্যতম একটি উপাদান ছিলো চন্দন। বিভিন্ন রকম কসমেটিক্স ও সুগন্ধীতে চন্দন ব্যবহৃত হয়। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় চন্দন বেশ উপকারী। এতে আছে অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও চন্দন বহুল ব্যবহৃত হতো।

আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ত্বকের যত্নে চন্দন ব্যবহারের কিছু নিয়ম-

– বলি রেখা দূর করে- চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট আছে, যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দন একটি চমৎকার অ্যান্টি-অ্যাজানিং উৎস হিসেবে পরিচিত।

– মুখের দাগ দূর করে- ডিমের কুসুম, মধু ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিক্সড করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। প্রতিদিন দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে প্রতিদিন রাখলে মুখের দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।

– উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়- উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে সাদা চন্দন কাঠ ঘষা ১ চা চামচ নিন। আধা কাপ দুধের সাথে মিশিয়ে খালিপেটে পান করুন। এরপর ৭-৮টি তুলসীপাতা চিবিয়ে খান। কিছুক্ষণের মাঝেই উচ্চ রক্তচাপ কমে যাবে। নিয়মিত ২ থেকে ৩ মাস খেলে ব্রঙ্কাইটিস রোগেও উপকার পাওয়া যাবে।

– বলিরেখা দূর করে- নিয়মিত চন্দন ব্যবহারে ত্বকে বলিরেখা কম পড়ে এবং ত্বক দীর্ঘ দিন সজীব থাকে। সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন চন্দন গুঁড়ো, গোলাপ জল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আকর্ষণীয় নজরকাড়া ত্বকের জন্য নিয়মিত চন্দন ব্যবহারের জুড়ি নেই।

– তৈলাক্ত ত্বকে- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চন্দনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে হাতে, পায়ে, মুখে ব্যবহার করা যায়। চন্দনের মধ্যে এমন আয়ুর্বেদিক গুণ আছে, যেটি ত্বককে আরও গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

আরও পড়ুনঃ   চেহারায় বয়সের ছাপ কমবে একটি প্যাকেই!

তেঁতো হলেও, উপকার হাজার গুন!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × 1 =