শুক্রাণু কমে যাওয়ার কারণ-যেসব বদভ্যাস শুক্রাণুর ক্ষমতা কমিয়ে দেয়

0
9256
শুক্রাণু কমে যাওয়ার কারণ

শুক্রাণু বলতে জীবের পুংজননকোষকে বোঝানো হয়। শুক্রাণু যখন ডিম্বাণু কোষকে নিষিক্ত করে তখন জাইগোট সৃষ্টি হয় যা মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মধ্যদিয়ে পরবর্তিতে ভ্রূণ গঠন করে এবং একসময় শিশু জীবে গঠন করে।

কিন্তু বেশ কিছু বদভ্যাস শুক্রাণুর ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। টুথপেস্ট, সাবান, প্লাস্টিকের খেলনার রাসায়নিক উপাদান পুরুষের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ডেনমার্কের হসপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নেইলস শেকাকেবার্কের পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয় ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টে।  গবেষণায় দেখা গেছে, টুথপেস্ট, সাবান এমনকি প্লাস্টিকের খেলনার মত নিত্যপণ্যে কিছু রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা শুক্রাণুর শক্তি হ্রাস করে। নারীর ডিম্বকোষে ঢোকার জন্য এক ধরণের এনজাইমের নিঃসরণ ঘটায় পুরুষ শুক্রাণু। কিন্তু এভাবে আচরণ বদলে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই এ এনজাইমের নিঃসরণ ঘটায় এবং ডিম্বে ঢুকতে ব্যর্থ হয় এ সব শুক্রাণু।  এছাড়াও বেশ কিছু বদভ্যাস শুক্রাণুর ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। জেনে নিন, কী কী বদগুণ মানুষের শুক্রাণুর ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

* গরম পানিতে গোসল করা একদম উচিত নয়। গরম তাপমাত্রায় শুক্রাণুর ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা।

* শরীর ক্লান্ত। চাই ঘুম। কিন্তু আপনার ঘুম কম। দিনে অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে শুক্রাণুতে এর প্রভাব পড়ে।

*  টাইট জিন্স পরলেও শুক্রাণুর ক্ষমতা কমতে পারে। তাই ক্যাজুয়াল পরাই বাঞ্ছনীয়। ‌‌

*  কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস অর্থাৎ ঠাণ্ডা পানীয় কিংবা অত্যধিক বিয়ার পান আপনার শুক্রাণুর ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কসে অত্যধিক চিনির পরিমাণই যার কারণ। এর ফলে রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়।

* মোবাইল ফোন প্যান্টের পকেটে রাখাও ক্ষতিকর। রেডিয়েশনের প্রভাবে শুক্রাণুর ক্ষমতা কমে যেতে পারে। অনেকেই চুরি যাওয়ার ভয়ে ফোন জামার পকেটে রাখেন না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্যান্টের পকেটে ফোন রাখা আরও ক্ষতিকর।

* অনেকেই গাড়িতে যেতে যেতে কোলের উপর ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। যা মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে মহিলাদের পেটে থাকা বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে ক্ষতি হবে পারে শুক্রাণুর। কমে যেতে পারে তাঁর ক্ষমতা।

আরও পড়ুনঃ   যে সাত খাবার দ্বিগুণ করবে আপনার যৌবন শক্তি

আরও কিছু কারণে শুক্রাণু কমতে পারে

*শারীরিক ও মানসিক ধকল
* জিঙ্কের ঘাটতি বা টক্সিক বেড়ে গেলে
* ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান
*ওবেসিটি বা স্থূলতা
* ক্যানসার
* বংশগতভাবে
* হরমোন সংক্রান্ত সমস্যা
* কিছু মেডিসিন ও স্টেরডের কারণেও পুরুষদের শুক্রাণু কমে ইনফার্টিলিটি দেখা দিতে পারে।

পুরুষদের বিপদের কারণ হতে পারে অন্তর্বাস!

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 + 19 =