শীতের রাতে ১ চামচ মধু!

0
359
মধু

আমরা জানি, মধু এমন একটি উপকারী জিনিস যার গুনাগুন বর্ননা করে শেষ করে যাবে না। বিশেষ করে শীতের দিনে মধু আরো বেশি উপকারী। সাধারণত শীতকালে সর্দি-কাশি বেশি হয়। এ সময় গলা খুসখুস, ব্যথাসহ আরও অনেক রকম অসুখ-বিসুখে মধু খেলে উপকার পাওয়া যায়। শত শত বছর আগে থেকেই এই প্রাকৃতিক ওষুধের গুণ মানুষ জানে। প্রাচীন গ্রিক ও মিসরীয়রা ওষুধ হিসেবে মধু খেত। ভারতের আয়ুর্বেদ ও চীনের প্রাচীন চিকিত্সাশাস্ত্রে মধুর ব্যবহার দেখা যায়। মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি, অ্যামিনো অ্যাসিড ও খনিজ পদার্থ। এটা ঘন বলে গলা ফোলা ও ব্যথায় আরামদায়ক একটি প্রলেপের মতো কাজ করে। মধু ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, পেটের আলসার ভালো করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। জেনে নিন মধুর কিছু ব্যবহার:

১. সামান্য সর্দি-কাশিতে আমরা সাধারণত তুলসীপাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাই। এতে উপকার পাওয়া যায়। কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে কাশির প্রকোপ কমে। তবে এক বছরের কম বয়সী ছোট বাচ্চাদের মধু খাওয়াবেন না। কারণ, মধুতে ক্লস্ট্রিডিয়াম বটুলিনাম নামের রেণু থাকে। বয়স্কদের অন্ত্রে এগুলো বংশবিস্তার করতে পারে না, কিন্তু খুব ছোট বাচ্চাদের পেটে বেড়ে উঠে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

২. শরীরের কোথাও সামান্য কাটাছেঁড়া থাকলে মধুর প্রলেপ দেওয়া যায়। মধুতে উঁচু মাত্রার জীবাণুনাশক উপাদান থাকায় সহজে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়। মৌমাছি ফুল থেকে যে মধু সংগ্রহ করে তাতে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পানি থাকে। ওরা নিজেরা কিছু রস খেয়ে বাকিটা মৌচাকে জমা করে। সূর্যতাপে পরিশোধিত হয়ে মধু বিভিন্ন গুণ অর্জন করে। এর জলীয় অংশও অনেক কমে যায়। ফলে কাটাছেঁড়া স্থানে মধুর প্রলেপ দিলে প্রথমে সেখান থেকে জলীয় অংশ শুষে নেয় ও বাইরের জলীয় পদার্থ ঢুকতে দেয় না। জলীয় অংশ না থাকলে ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু বাঁচতে পারে না। এভাবে মধু ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুনঃ   ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়

৩. রাতে শোয়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ঘুম হয়।

৪. তবে একটানা বেশি দিন মধু খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। মাঝে বিরতি দিয়ে বছরের বিভিন্ন সময় মধু খাওয়া যেতে পারে।

৫. গ্যাস্ট্রিক-আলসারে মধু উপকারে আসে। ১০০ গ্রাম কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৬. মধু ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক ও কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করে তুলতে সহায়তা করে। রাতে ঘুমের পূর্বে নিয়মিত ঠোঁটে মধু লাগান। ঠোঁট হয়ে উঠবে নজর কাড়া সুন্দর।

এছাড়া মধু একটি সুন্নতি খাবার। রাসূল (সাঃ) এর কাছে মধু খুব পছন্দের জিনিস ছিল।

শীতের রাতে এক কাপ দুধে তিন কোয়া রসুন!

ইমন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

19 − seven =