সাধারণত শীতকাল এলেই বিভিন্ন রকম চিন্তা আসে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে। আবহাওয়া বদলালে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর তার কিছুটা প্রভাব পড়ে। এই সময়ে সর্দিকাশি বা ভাইরাল ফিভার হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা থাকে। এই ধরনের রোগের চিকিৎসা সাধারণত কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক। সামান্য একটুতেই ওষুধ খাওয়া অনেকেরই না-পছন্দ! সাম্প্রতিক গবেষণা হদিশ দিচ্ছে এমন একটি ঘরোয়া কৌশলের, যার সাহায্যে সহজেই রুখে দেওয়া যেতে পারে ভাইরাস ও সর্দি-জ্বরের আক্রমণ। শুধু তাই নয়, এর সাহায্যে বাতের ব্যাথার মতো রোগেরও প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এটা বানানোর জন্য প্রয়োজন কেবল এক কাপ দুধ, তিন কোয়া রসুন, এক চামচ হলুদ গুঁড়ো, প্রয়োজন মতো চিনি ও পরিমাণ মতো জল। প্রথমে দুধ-জল মিশিয়ে একটু পাতলা করে নিন। এর মধ্যে রসুন কোয়াগুলো থেঁতলে ফেলে ফোটান। দুধের সঙ্গে সেগুলি মিশে গেলে হলুদ গুঁড়ো ও চিনি দিয়ে নে়ড়ে নিন। প্রয়োজনে পছন্দমতো ফ্লেভারও মেশাতে পারেন দুধে। এর পর ১০ মিনিট গরম করলেই আপনার ঘরোয়া ওষুধ তৈরি।
ঘরোয়া এই কৌশলে রুখে দেওয়া যেতে পারে বহু জটিল রোগ। এই বিশেষ পানীয় শুধু যে সর্দিকাশির প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে, তা নয়। রসুন-দুধ অ্যাজমা প্রতিরোধেও কাজে আসে। এছাড়া শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের সমস্যা কমায় এটি। রসুন-দুধের মিশ্রণ যৌনক্ষমতাও বাড়ায় বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে রাত্রিবেলা এই ওষুধ বেশি কার্যকরি।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে রসুন-দুধের উপকারিতার কথা।
দুধ ও রসুন খুব উপকারী দুটি খাবার। এদের রয়েছে স্বাস্থ্যগত গুণ। জানেন কি দুধের মধ্যে রসুন মিশিয়ে খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকার? দুধকে আদর্শ খাবার বলা হয়। এর মধ্যে মানবশরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব উপাদানই রয়েছে। আর রসুনের মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান, রয়েছে ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান।
রসুন-দুধের পানীয় তৈরি করতে যা যা লাগবে
• ৫০০ এম এল দুধ
• খোসা ছাড়ানো ১০ কোয়া থেঁতলানো রসুন
• দুই থেকে তিন চা চামচ চিনি
• ২৫০ এম এল পানি
যেভাবে প্রস্তুত করবেন
একটি পাত্রে দুধ ও পানি মেশান। এতে রসুন দিন। এরপর ফোটানোর জন্য চুলায় দিন। দুধ জ্বাল দিতে দিতে অর্ধেক পরিমাণ হলে নামিয়ে ফেলুন। এরপর মিশ্রণটিতে চিনি মেশান। উষ্ণ থাকতে থাকতে পান করুন।
রসুন-দুধের উপকারিতা
• রসুন দুধ অ্যাজমা প্রতিরোধে কাজ করে।
• সপ্তাহে তিনবার রসুন-দুধ পানীয় খেলে নিউমোনিয়া কমতে সাহায্য হয়।
• এই পানীয় শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। রক্ত জমাটবাঁধা প্রতিরোধ করে, রক্ত সঞ্চালন ভালো করে। তবে অবশ্যই দুধটি লো ফ্যাট হতে হবে।
• নিয়মিত এই পানীয় পান করলে আরথ্রাইটিসের সমস্যা কমবে।
• রসুন-দুধ ঘুমের সমস্যা প্রতিরোধে উপকারী।
• ঠান্ডা-কাশি কমাতে রসুন-দুধের পানীয় খেতে পারেন।
• রসুন-দুধ প্রজননক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
শীতের রাতে ১ চামচ মধু!
ইমন