অনেক সময় কাজের মাঝে কিংবা অযথাই শরীরে ভর করে রাজ্যের ক্লান্তি এবং দুর্বলতা। শরীর নাড়াতেও কষ্ট হয় সে সময়। মাথা খাটানো জাতীয় কোনো কাজই করা সম্ভব হয়ে উঠে না।
অনেকে এই সমস্যায় পড়ে অজ্ঞানও হয়ে যান। শারীরিক দুর্বলতা কাজের উৎসাহ একেবারে নষ্ট করে দেয়। কিন্ত এই ধরণের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে প্রয়োজন আমাদের একটু সতর্কতা।
সকালের সূর্যের আলো গ্রহন করুন:
সকাল ৮-৯ টায় সূর্যের আলোর মধ্যে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে দেহে ভিটামিন ডি পৌছায় যা আমাদের দেহের হাড়ের গঠন সুগঠিত করার পাশাপাশি আমাদের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে সহায়তা করে। মাথা ঘোরানো কিংবা শরীরে শক্তি না পাওয়ার সমস্যা সমাধান করে।
চা/কফি পান কমিয়ে দিন:
চা/কফির ক্যাফেইন আমাদের শারীরিকভাবে দুর্বল করে তোলে। চা/কফি চা করলে তাৎক্ষণিকভাবে দেহে চাঙা ভাব এলেও এটি আমাদের দেহ পানিশূন্য করে ফেলে যার ফলে আমাদের দেহে পানির চাহিদা বৃদ্ধি পায় ও আমরা দুর্বলতা অনুভব করি। তাই চা/কফি পানের মাত্রা কমিয়ে দিন।
কাজের ফাঁকে ছোট্ট ঘুম :
কাজের ফাঁকে খানিকটা সময় পাওয়ার ন্যাপ অর্থাৎ মাত্র ১০ মিনিটের ঘুম দেহের কোষগুলোকে তরতাজা কর তোলে ফলে আমরা কাজের মাধ্যমে যে শক্তি হারাই এবং দুর্বলতা অনুভব করি তা পুনরায় ফিরে আসে। এবং আমাদের শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়।
পানি পান করুন বেশী বেশী:
আমাদের দেহ পানিশূন্য হলে আমরা শারীরিকভাবে প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পরি। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিৎ সকলের। দেহ হাইড্রাইট থাকলে শারীরিক দুর্বলতার সমস্যা কেটে যায় একেবারে। এনার্জি সমৃদ্ধ কিছু খাবার রাখুন হাতের কাছে।
ঘন ঘন খাদ্য গ্রহণ:
যখনই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন তখন তাৎক্ষণিক ভাবে এমন কিছু খাওয়া উচিৎ যা দেহে শক্তি ফিরিয়ে দেবে। বাদাম, কমলা এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার হাতের কাছে রাখবেন সব সময়। এতে করে শারীরিক দুর্বলতাকে কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান :
ঘুমের পরিমাণ কম হলেও আমরা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পরি। কারণ ঘুমের মাধ্যমে আমাদের দেহের ও মস্তিষ্কের কোষ নতুন করে শক্তি অর্জন করে। যখন ঘুম কম হয় তখন মাথা ঘোরানো এবং দুর্বলতা অনুভব করার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুমই দূর করতে পারবে শারীরিক দুর্বলতা।