গবেষকদের দাবি প্রতিবার ফার্মের মুরগির মাংসের সাথে শরীরে প্রবেশ করছে মুরগির জন্য প্রয়োগ কৃত অ্যান্টিবায়োটিকের একটি মিশ্রণ। এই অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে প্রবেশ করে জীবাণুর প্রতিরোধ ক্ষমতাই ধংস করে দেয়। গবেষণায় বলা হচ্ছে, এভাবে কেমিক্যাল সমৃদ্ধ মুরগি খেতে খেতে একপর্যায়ে ওষুধ হিসেবে রোগীকে দেওয়া অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
খামারে সাধারণত খামারিরা মুরগিকে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি অ্যান্টিবায়োটিক টিকা দেয়। যা মুরগির মাংসে থেকে যায়। ওই মুরগি মানুষ খেলে তাৎক্ষণিক কোন ক্ষতি না হলেও দীর্ঘদিনের অভ্যাসের কারণে ধীরে ধীরে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে মানুষের শরীরের জীবাণুরোধী ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশের ফার্মের মুরগিতে এমন কেমিক্যাল এবং ক্রোমিয়াম পাওয়া যাচ্ছে, যা ক্যান্সারসহ নানা রোগের জন্য দায়ী। ভারতে পোলট্রি মালিকেরা ব্যাপক ও বেপরোয়াভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন বলে গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে। মুরগিকে দ্রুত বাড়ন্ত করতে এবং সংক্রামক প্রতিরোধে নিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়।