কিছু কিছু খাবার আছে দেহের শক্তি জোগানোর সাথে সাথে যৌন শক্তি বাড়ায়। যৌন শক্তির সঙ্গে খাদ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।
প্রতিদিন আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি, তাই পাকস্থলীতে গিয়ে হজম পক্রিয়া শেষে সর্বপ্রথম রক্ত সৃষ্টি করে। পরে তা অঙ্গকোষের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ত থেকে প্রজনন উপাদান প্রস্তুত হয় যা মানব জীবনের বিশেষ পদার্থ এবং যৌন সম্ভোগের উৎস।
এজন্য সর্বদা এমন খাদ্যই গ্রহন করা দরকার যা দ্বারা যৌনশক্তি সর্বদা অটুট থাকে এবং দৈহিক শক্তিতে কোন প্রকার ঘাটতি না আসে। শরীয়ত মোতাবেক যেসব খাবার যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে তা জেনে নেই।
আবু নাঈম কিতাবুততীব গ্রন্থে লিখেছেন, মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খাওয়া রাসূল (সাঃ) এর কাছে খুবই প্রিয় ছিল। আলেমগণ লিখেছেন, মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়, শরীরে গঠন বাড়ে ও কন্ঠস্বর পরিস্কার হয়।
আবু নাঈম ইবনে আবদুল্লাহ জাফর কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সীনার গোশ্ত অন্য সব গোশ্ত হতে উত্তম হয়ে থাকে। আলেমগন লিখেছেন যে, এর রহস্য হলো, এই গোশ্তে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। – তিব্বে নববী।
কোন কোন বর্ণনায় আছে যে, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হাসীস খুব পছন্দ করতেন। “হাসীস” তিনটি উপাদানে তৈরী হয়। খেজুর , মাখন ও জমাট দধি। এ খাদ্য দ্বারা শরীর শক্তিশালী হয় এবং রতি শক্তি বাড়ে।
যায়তুন তেল খাওয়া ও মালিশ করা, তিল ও খেজুর একত্রে ব্যবহার করা কালোজিরা এবং লুবিয়াও যৌন শক্তি বর্ধক। কালোজিরা এবং রসুনও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে।
* হযরত হুযায়ল বিন হাকাম বলেন, রাসূল (সঃ) বলেছেন, দেহের লোম তাড়াতাড়ি দূর করলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়। -তিব্বে নববী।
* হযরত হুযায়ল বিন হাকাম বলেন, রাসূল (সঃ) বলেছেন, দেহের লোম তাড়াতাড়ি দূর করলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়। -তিব্বে নববী।
হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুলাহ (সঃ) এর কাছে এসে অভিযোগ করল যে, আমার ঘরে সন্তানাদি হয় না। একথা শুনে রাসূল (সঃ) তাকে ব্যবস্থা দিলেন যে, তুমি ডিম খেতে থাক।
তিরমিযী শরীফ ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে উম্মে মুনযির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি নবী কারীম (সঃ) এর সামনে কিছু খেজুর ও বীটচিনি পেশ করেন। রাসূল (সঃ) উপস্থিত হযরত আলী (রাযিঃ) কে খেজুর খেতে নিষেধ করেন আর বিটচিনি সম্পর্কে বললেন যে, এটা খাও। এটা তোমার জন্য উপকারী।
উলামায়ে কেরাম লিখেছেন যে, হযরত আলী (রাযিঃ) এর তখন চোখে ব্যাথা ছিলো আর চোখে ব্যাথা অবস্থায় খেজুর খাওয়া ক্ষতিকর। এ কারনে রাসূল (সঃ) হযরত আলী (রাযিঃ) কে খেজুর খেতে বারন করেন। আর বীট লবন সম্পর্কে বলেছেন এটা খাও, এটা তোমার জন্য উপকারী এবং তোমার অক্ষমতা দূর করে দেবে।
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, খাদ্যে সাবধানতা অবলম্বন করে চলা সুন্নত। আর এটাও বুঝা গেল যে, বিটচিনি খেলে দুর্বলতা দূর হয় এবং রতি শক্তিতে স্পন্দন সৃষ্টি হয়। -তিব্বে নববী ডাক্তারদের মতে এই হাদীসে বর্নিত লোম দ্বারা নাভির নীচের অবস্থিত লোমকে বোঝানো হয়েছে। আর দাড়ি কাটার বিফল হলো যৌনশক্তি লোপ পাওয়া বা কমে যাওয়া।
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে বুঝার এবং আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।