একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে তামাক গ্রহণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, শরীরের এমন কোনো অংশ নেই যেখানে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। ধূমপান ছেড়ে দিতে চাইলেও অনেকে ছাড়তে পারেন না। এটি নেশায় পরিণত হয়ে যায়। তবে বেশ কিছু প্রকৃতিক উপাদান ধূমপানের কুঅভ্যাস ছাড়াতে দারুন কাজে আসে।
আদা, আমলকী, হলুদ :
আদা, আমলকী ও হলুদ একত্রে মিশিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করে খেতে পারেন। এক মাস এটি খাওয়া তামাক গ্রহণের প্রতি আগ্রহ কমাতে কাজ করবে।
ওটস:
ধূমপান ছাড়াতে ওটসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে ১ চামচ ওটসের সঙ্গে ২ কাপ গরম জল মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে আরেকবার জলটা ফুটিয়ে নিয়ে ব্রেকফাস্টের পর পান করতে হবে। এমনটা প্রতিদিন করলে শরীরে উপস্থিত নিকোটিন এবং বাকি সব টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাও কমবে।
দারুচিনি : দারুচিনি ধূমপানের আসক্তি থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। যখন ধূমপান বা অন্যান্য তামাক গ্রহণের নেশা জাগে, এক টুকরো দারুচিনি নিন। একে চিবাতে শুরু করুন। এটা ধূমপানে বিরত রাখতে সাহায্য করবে।
ত্রিফলা : ত্রিফলা শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করার জন্য পরিচিত। এটি ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে এক টেবিল চামচ ত্রিফলা খাওয়া ধূমপান কমাতে উপকারী।
পুদিনা পাতা : পুদিনা পাতা চিবানোও তামাক গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে ২-৩টি পুদিনা পাতা চিবান।
অশ্বগন্ধা : অশ্বগন্ধা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে বেশ কার্যকর। এটি উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য করে এবং তামাকের প্রতি আসক্তি কমায়। ৪৫০ মিলিগ্রাম থেকে ২ গ্রাম অশ্বগন্ধার শিকড়ের গুঁড়ো খাওয়া ভালো ফলাফল দেবে।
গোলমরিচ:
এক গ্লাস জলে অল্প করে গোলমরিচ মিশিয়ে সেই জল পান করলে ধূমপানের ইচ্ছা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ফুসফুসও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, জলে গুলে যদি গোলমরিচ খেতে ইচ্ছা না করে, তাহলে খাবারে দিয়েও খেতে পারেন। একই উপকার মিলবে।
আদা:
সিগারেট ছাড়ার পর প্রথম যে লক্ষণটা দেখা দেয়, তা হল মাথা ঘোরা। এই ধরনের লক্ষণের প্রকোপ কমাতে আদা দারুন কাজে আসে। শুধু তাই নয়, সিগারেটের কারণে শরীরের অন্দরে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তা সারাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে যখনই সিগারেট খেতে ইচ্ছা করবে এক টুকরো আদা মুখে ফেলে দেবেন। দেখবেন ফল মিলবে।
-শাশ্বতী মাথিনের লেখার আলোকে বাড়তি কিছু সংযোজিত