যে ছয় কারণে রক্ত দেয়া যায় না !

0
538
রক্ত দেয়া যায় না

রক্ত দান একটি মহৎ কাজ। বলা হয়ে থাকে, একজন রক্তদাতা তিনজন মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারেন। একজন সুস্থ্ স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি নির্দ্বিধায় তিন থেকে চার মাস পরপরই রক্ত দিতে পারেন। কিন্তু অনেকের হয়ত জানা নেই যে, অবাক করার মত কিছু কারণে কেউ কেউ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রক্ত দানে অনুপযোগী। এসকল কারণে কখনো কখনো রক্তদাতার জন্য, আবার কখনো রক্ত গ্রহীতার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। আসুন জেনে নেই সেসকল কারণ।

ক্যান্সার

যাদের ব্লাড ক্যান্সার যেমন,লিউকেমিয়া (Leukemia), লিম্ফোমা (Lymphoma) হয়েছে তারা রক্ত দিতেই পারবেন না। কিন্তু ব্লাড ক্যান্সার বাদে অন্যান্য ক্ষেত্রে ক্যান্সার রোগী তখনই রক্ত দেওয়ার উপযোগী হবেন যখন তিনি ১২ মাসের সফল ক্যান্সার চিকিৎসা গ্রহন করা শেষ করবেন। অন্যদিকে, স্কিন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে যদি ক্যান্সার ১২ মাস পূর্বেই পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়, তবে ১২ মাস অপেক্ষা করতে হবে না,সেক্ষেত্রে সে রক্ত দিতে উপযোগী বলে ধরা হয়।

এন্টিবায়োটিক

এন্টিবায়োটিক সেবন করলেই যে কেউ রক্ত দিতে পারবে না তা কিন্তু নয় !  প্রকৃতপক্ষে আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে, আসলে এন্টিবায়োটিকটি যে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের জন্য সেবন করা হচ্ছে তা আদৌ রক্তের মাধ্যমে রক্ত গ্রহীতার শরীরে সংক্রমিত হবে কি না। যদি না হয়ে থাকে তবে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক সেবনকারী রক্ত দিতে উপযুক্ত, কিন্তু অবশ্যই এন্টিবায়োটিকের কোর্স যথাযথভাবে সম্পন্ন করার পর।

দৈহিক আকার

রক্তদানের জন্য একজন ব্যক্তির শরীরে মোট রক্তের পরিমান অবশ্যই কমপক্ষে ৩৪০০ মি.লি. থাকতে হয়। কেননা একজন কম পরিমান রক্তসম্পন্ন মানুষ অধিক রক্তক্ষয় সহ্য করাতে পারে না। রক্তের পরিমান বা ব্লাড ভলিউম নির্ধারণ করা হয় একজন ব্যক্তির দৈহিক ওজন এবং উচ্চতার মাধ্যমে।
সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৪ ফিট ১০ ইঞ্চি এবং ওজন কমপক্ষে ১১১ পাউন্ড হওয়া উচিৎ। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হিসাব কিছুটা জটিল। রক্ত দেয়ার জন্যে ৪ ফিট ১০ ইঞ্চি উচ্চতাধারীর ওজন ১৩৯ পাউন্ড, ৪ফিট ১১ ইঞ্চি উচ্চতাধারীর ওজন ১৩৫ পাউন্ড, ৫ ফিট উচ্চতাধারীর ওজন ১৩১ পাউন্ড, ৫ ফিট ১ ইঞ্চি উচ্চতাধারীর ওজন ১২৬ পাউন্ড, ৫ ফিট ২ ইঞ্চি উচ্চতাধারীর ওজন ১২২ পাউন্ড, ৫ ফিট ৩ ইঞ্চি উচ্চতাধারীর ওজন ১১৭ পাউন্ড এবং ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি উচ্চতাধারীর ওজন ১১৩ পাউন্ড দরকার হয়।

আরও পড়ুনঃ   ক্যান্সার ডেকে আনছে কোন ৫ খাবার?

রক্ত জমাট না বাঁধা

যে সকল ব্যক্তির রক্ত সহজে জমাট বাধে না বা এন্টিকোয়াগুলেন্ট জাতীয় ঔষধ যেমন ওয়ারফেরিন সেবন করছেন তাদের রক্ত দেয়া উচিৎ না। কেননা রক্ত দেয়ার সময় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে বা রক্ত জমাট না বাধার ফলে রক্ত দাতার ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

ভ্রমণ

কোন ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরার পর কোন কারণে রক্ত দিতে চাইলে তার আগে অবশ্যই ব্লাড টেস্ট বা রক্তে কোন ইনফেকশন আছে কি না তা যাচাই করে নেয়া ভালো। কেননা হতে পারে আপনি এমন কোন জায়গায় ভ্রমন করেছেন যেখানে কোন সংক্রামক রোগ মহামারী আকার ধারণ করেছে কিন্তু আপনি জানেনই না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়,ম্যালারিয়ার ঝুঁকি আছে এমন দেশ থেকে ফিরে রক্ত দেয়ার পূর্বে অন্ততপক্ষে বছর খানেক অপেক্ষা করতে হয়।

ট্যাটু বা পিয়ার্সিং

ট্যাটু বা পিয়ার্সিং যদি হাইজিন মেনটেন করে করা হয় তবে সেসকল ক্ষেত্রে রক্ত দানে কোন সমস্যা নেই। তবে হাইজিন মেইন্টেন করা না হলে সেসকল ক্ষেত্রে রক্ত দাতার রক্তে কোন ইনফেকশন আছে কি না তা রক্ত নেয়ার পূর্বে যাচাই করে দেখে নেয়া ভাল।

রক্ত দেওয়ার পূর্বে যে ৫টি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 4 =