যে কারণে ঘুমের মধ্যে শরীর ঝাঁকুনি দেয়!

0
449
শরীর ঝাঁকুনি

মাঝেমধ্যে ঘুমেরেঘোড়ে শরীর ঝাঁকুনি দেয় না এরোকম মানুষ মনেহয় খুব কমই আছে। তন্দ্রাচ্ছন্নভাব নেমে এলে শরীরে পেশীগুলো আস্তে আস্তে অবশ হতে থাকে। কিন্তু মস্তিস্ক শরীরে পেশীর এই অবস্থান ঠাহর করতে পারে না।

সবে চোখটা বুজে এসেছে। আচমকাই একটা ঝটকা। শরীরটা প্রবলভাবে ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল, যেন মনে হচ্ছে কোথাও পড়ে যাচ্ছিলেন। এটা শুধু আপনার সমস্যা নয়, শরীরের ঝাঁকুনির এমন অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন বিশ্বের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ। ঘুমের মধ্যে এমন ঝাঁকুনিকে ‘হিপনিক জার্কস’বলা হয়।

কেন এমনটা হয়?
জেগে থাকা অবস্থা থেকে সবে ঘুমোতে যাওয়ার অবস্থার মধ্যে এই ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। এই সময় মানুষ পুরোপুরি ঘুমের মধ্যে থাকে না। বরং বলা যায়, সে তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে। এই অবস্থাতেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে জাগরণ ও স্বপ্নের সীমানাকে অনেক সময়েই মস্তিষ্ক ঠাহর করতে পারে না। ফলে তার ধাক্কা এসে লাগে শরীরে। এ থেকেই তৈরি হয় ‘হিপনিক জার্কস’।

ঠিক কেন মস্তিষ্ক ঠাহর করতে পারে না শরীরে অবস্থা? আসলে শরীরে তন্দ্রাচ্ছন্নভাব নেমে এলে মাসল এবং পেশীগুলো আস্তে আস্তে অবশ হতে থাকে। কিন্তু মস্তিষ্ক শরীরে পেশীর এই অবস্থান ঠাহর করতে না পেরে সেই প্রক্রিয়া আটকানোর চেষ্টা করে, ফলে শারীরে ঝাঁকুনি হয়।

যদিও, কিছু মানুষ একে শারীরিক অসুবিধা ভেবে ভয় পান। কিন্তু, চিকিৎসকদের মতে এতে ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই।

তবে, অনেক সময়ে নাক ডাকা থেকেও ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনাপ্রবাহ ঠিকমতো ঠাহর করতে না পারায় এক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে শরীরে ঝাঁকুনি হয়।

ইম

রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ার কারণ?

আরও পড়ুনঃ   পর্যাপ্ত ঘুম না হলে “মাতালের” মত আচরণ করবেন: বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × four =