বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য মানসিক চাপকে দায়ী করা যায়। খুব বেশি মানসিক চাপের মধ্যে থাকার পরিণামে আপনি ব্রণ, ফুসকুড়ি বা ত্বকের লালচে দাগের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েইল কর্নেল মেডিকেল কলেজের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জর্জ ডব্লিউ হ্যামব্রিক বলেন, প্রত্যেক মানুষকেই জীবনে কিছু না কিছু মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে হয়। তবে এ ধরনের চাপে ত্বকের ওপর সরাসরি কোনো প্রভাব পড়ে কিনা, নির্ণয় করা কঠিন। কিন্তু মানুষের স্নাছুতন্ত্র মানসিক চাপকে প্রক্রিয়াজাত করে এবং এতে ত্বকের ওপর এক ধরনের কোনো না কোনো প্রভাব পড়ে বলে ধারণার প্রচলন রয়েছে দীর্ঘকাল থেকেই। কাজেই ফুসকুড়ির মতো চর্মরোগের সঙ্গে মানসিক চাপের সম্পৃক্ততা থাকা স্বাভাবিক।
মার্কিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ডি গ্র্যানস্টেইন বলেন, মানসিক চাপের ফলে স্নাছুর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। পরিণামে চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। কাজেই মানসিক চাপ এড়িয়ে চললে সুনির্দিষ্ট কিছু চর্মরোগ বা ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে। ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির তেজস্ক্রিয় বিকিরণের সামনে উন্মুক্ত থাকলে প্রাণীগুলো চাপের মুখে দ্রুত চর্মরোগে আক্রান্ত হয়।
গবেষকদের পরামর্শ- ত্বকের সুস্থতার জন্য মানসিক চাপমুক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি আপনাকে পরিমিত খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং পরিপাক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে হবে। সায়েন্স ডেইলি।