পাকা আমের মধুর রসে মন হারাতে চায় সবার। আবার স্বাদের ভুবনে ভিন্নতাও খোঁজে। এদিকে রসে ভরপুর আমের পুষ্টিগুণ শরীরকে রাখে নানা রোগব্যধি থেকে মুক্ত। অথচ সেই আমই আপনার জন্য হতে পারে প্রাণহানির কারণ। বাজারে টসটসে যেসব আম পাওয়া যায় তার প্রায় সবই কার্বাইড নামক বিষ প্রয়োগ করে পাকানো হয়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড প্রধানত আর্সেনিক ও ফসফরাসের যৌগ উপাদান। এ দুটি উপাদান মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে পাকানো ফল খেলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কার্বাইড থেকে উৎপন্ন অ্যাসিটিলিন গ্যাস দেহের স্নায়ুতন্ত্রের ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে। এটি দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় বমি হওয়া, চুলকানি, ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, বুক জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া এবং কথা বলতে অসুবিধা হয়। দীর্ঘদিন এ উপাদান দিয়ে পাকানো ফল খেলে হাত-পা অবশ হয়ে যেতে পারে, গলব্লাডারে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
চলছে আমের মৌসুম, সময়টা কী আম না খেয়েই পার হবে? মোটেও না। চলুন জেনে নিই কার্বাইডমুক্ত আম পাওয়ার উপায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে আম পাকবে সহজে।
প্রথমে কাঁচা আমগুলোকে বাছাই করে নিতে হবে। এবার একটি কাগজের ব্যাগে ভরে নিন। আমগুলো খবরের কাগজ দিয়েও মুড়ে নিতে পারেন। দশটি আমের জন্য ব্যাগের ভেতর একটি আপেল অথবা একটি কলা বা একটি টমেটো রেখে দিন। কাগজের ব্যাগের মুখটি ভালোকরে বেঁধে দিতে হবে। আপেল থেকে নির্গত ইথিলিন গ্যাস আম গুলোকে দ্রুত পাকাতে সাহায্য করবে। আম ভর্তি ব্যাগটি রান্না ঘরে বা গরম কোনো স্থানে রেখে দিতে পারেন। ১ থেকে ২ দিনের মধ্যেই ব্যাগ থেকে পাকা আমের মিষ্টি ঘ্রাণ বের হতে থাকবে। এবার পেয়ে যান মধুর রসে ভরা নিরাপদ আম।