অনেসময় আমাদের বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হলে অনেকেই হয়তো ভাবেন এটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষ্ণণ। তবে সব ধরনের বুকে ব্যথা মানেই হার্ট অ্যাটাক নয়। অনেক কারণেই বুকে ব্যথা হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দু-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হলো হার্ট অ্যাটাকের প্রধান ও প্রথম লক্ষণ। কিন্তু এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে অন্য কিছুও হতে পারে। তবে কোনটাই কিন্তু অবহেলার নয়।
ফ্রোজেন শোল্ডার অ্যাটাক হলে অনেকসময় বুকে ব্যথা হয়। এক্ষেত্রে কাঁধে প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং বুক চেপে আসে। লিগামেন্ট নষ্ট হলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। গ্যাসের সমস্যা হলেও অনেকসময় বুকে ব্যথা হয়, চাপ ধরে আসে। এটা খুবই পরিচিত একটা সমস্যা। এটা নিয়ে খুব বেশি দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই। তবে এ ধরনের সমস্যা যদি খুব ঘন ঘন হয় তাহলে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডায়বেটিস হলে রক্তে চিনির মাত্রা হঠাৎ করে কমে যেতে পারে, তখন প্রচণ্ড ঘাম হয়। এর সঙ্গে যদি বদহজম থাকে এবং ঘাম হয়, তখন অনেকেই হার্ট অ্যাটাক বলে ভুল করেন।
যারা ভারি ওজন নিয়ে ব্যায়াম করেন তারা পেশীর ব্যথার সঙ্গে পরিচিত। তবে শুধু ব্যায়াম নয় যে কোনো ভারি জিনিস ওঠানো থেকেই এই ব্যথা হতে পারে। হুট করে ভারি ওজন তোলার কারণে পেশিতে অতিরিক্ত টান পড়ায় পেশির কিছু অংশ ছিঁড়ে যায়,যা এই ব্যথার কারণ। তখন বুকেও ব্যথা হতে পারে। ঠিক হার্ট অ্যাটাক নয়, তবে হৃদযন্ত্রে অন্য কোন সমস্যা থাকলেও বুকে ব্যথা হতে পারে। এটাকে করোনারি আর্টারি ডিজিজ বলা হয়। এ ধরনের সমস্যা থাকলে হৃৎপিণ্ডের পেশিতে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, বুকেও ব্যথা হয়।
তবে বুকে ব্যথা হলে তা অবহেলা করা ঠিক নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আবার বুকে ব্যথা না হলেও বুকে ধড়ফড় করলে, দম বন্ধ ভাব হলে, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে ঘাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া জরুরি।