পিরিয়ডের ব্যথায় সহজ ঘরোয়া সমাধান

0
518
পিরিয়ডের ব্যথা

একজন নারীর জন্য পিরিয়ডের সময়টা স্বাভাবিকভাবেই বেশ কষ্টকর ও কঠিন হয়ে থাকে। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে পেটে ব্যথা সহ দেখা দিতে থাকে নানান ধরণের শারীরিক উপসর্গ। জ্বরভাব, বমিভাব, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথাভাব দেখা দেওয়া সহ বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তবে নারীরা পিরিয়ডের সময়ে সবচেয়ে বেশি ভুগে থাকেন পেটব্যথার কারণে। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে শরীরে বিভিন্ন ধরণের হরমোন নিঃসৃত হতে থাকে। যার মাঝে ‘Prostaglandins’ নামক হরমোন ব্যথাভাব ও অস্বস্তি ভাব তৈরি করে থাকে। এছাড়াও, পিরিয়ডের সময়ে জরায়ুর পেশী অনেক বেশি সংকুচিত-প্রসারিত হতে থাকে। যার ফলে পেটে ব্যথাভাব দেখা দিয়ে থাকে।

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে পেটে ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরণের ওষুধ পাওয়া গেলেও, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা এই সকম ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বিরক্তিকর এই ব্যথা থেকে খুব সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি পাওয়া যাবে অল্প সময়ের মাঝেই। জেনে নিন চমৎকার কিছু ঘরোয়া উপায়, যা কমাবে পিরিয়ড সময়কালীন পেটে ব্যথা।

পেঁপে

পেঁপে একটি প্রদাহ বিরোধী উপাদান। যাতে রয়েছে আয়রন, ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন- এ ও সি। পেশীর সংকোচন কমাতে যা সাহায্য করে থাকে। পিরিয়ড শুরু হবার কিছুদিন আগে থেকেই নিয়মিত পেঁপে খেলে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে পেটে ব্যথা তুলনামূলক কম দেখা দেবে।

তুলসী পাতা

তুলসী পাতার অগণ্য গুণের মাঝে অন্যতম গুণ হলো পিরিয়িডের সময়ে ওষুধের মতো কাজ করা। তুলসী পাতাতে রয়েছে Analgesic উপাদান। যা কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে।

যেভাবে ব্যবহার করতে হবে

এক কাপ পরিমাণ পানিতে কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে ফুটাতে হবে। এরপর পানিটি ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিতে হবে। কয়েক ঘণ্টা পর পর এই পানিটি কয়েক চুমুক করে পান করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ   গর্ভাবস্থার যে সমস্যাগুলো থেকে সাবধান!

আদা

দারুণ এই প্রাকৃতিক উপাদান শুধুমাত্র ঠাণ্ডার প্রাদুর্ভাব কমাতেই নয়, পিরিয়ড এর কষ্টকর পেটে ব্যথা কমাতেও দারুণ কার্যকরী।

যেভাবে ব্যবহার করতে হবে

এক কাপ পরিমাণ পানিতে কিছু আদা কুচি দিয়ে ৪-৫ মিনিট সময় পর্যন্ত ফুটাতে হবে। এরপর ছেঁকে নিয়ে এতে এক চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস যোগ করতে হবে। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে এই পানীয় ২-৩ বার পান করতে হবে।

গাজর ও গাজরের রস

অনেক সময় অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণেও প্রকট পেতে ব্যথা তৈরি হয়। এমন সমস্যা থাকলে খাদ্যাভাসে গাজর ও গাজরের রস যোগ করতে হবে। উজ্জ্বল কমলা রঙের দারুণ এই খাদ্য উপাদানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়া এবং ভিটামিন-এ, সি ও বি১২। যা পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।

দারুচিনি

সুঘ্রাণযুক্ত দারুণ এই উপাদানটি পিরিয়ড চলাকালীন সময়ের জন্যে বিশেষভাবে উপকারী। কারণ, দারুচিনিতে রয়েছে একইসাথে অ্যান্টি-মাইক্রবিয়াম, অ্যান্টি-বায়োটিক, অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান সমূহ। যা পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে কাজ করে থাকে।

যেভাবে ব্যবহার করতে হবে

এক কাপ গরম পানিতে আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া এবং এক চা চামচ মধু মেশাতে হবে। মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ২-৩ বার পান করতে হবে

সূত্র: Reward me

জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতি — বিনা ঔষধে, বিনা জন্মনিরোধকে

-কে এন দেয়া

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

12 + ten =