পানিফলের যত ঔষধি ও পুষ্টিগুণ

0
520
পানিফল

পানিফল একটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। দেশে একসময় পানিফলের ব্যাপক কদর থাকলেও তা এখন অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। হয়তো আগের মত এখন আর এটি সহজলভ্য নয় অথবা এটির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন অনেকে। তবে পানিফল কাঁচা এবং সেদ্ধ দুভাবেই খাওয়া যায়। পুরু খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের শাঁসটি খেতে হয়। পানিফলের ব্যাপক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ, শরীর গঠন, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

পানিফলের প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে নিম্নরূপ খাদ্য উপাদান রয়েছে :-
খাদ্যশক্তি- ৬৫ কিলোক্যালরি, জলীয় অংশ- ৮৪.৯ গ্রাম, খনিজ পদার্থ- ০.৯ গ্রাম, খাদ্যআঁশ- ১.৬ গ্রাম, আমিষ- ২.৫ গ্রাম, চর্বি- ০.৯ গ্রাম, শর্করা- ১১.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ১০ মিলিগ্রাম, আয়রন- ০.৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১- ০.১৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২- ০.০৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি- ১৫ মিলিগ্রাম। এছাড়াও এতে রয়েছে জিঙ্ক, আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম।

পানিফলের যত গুণাগুণ :-
পেটের রোগ থেকে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ। এমনকি এতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক গুণও।

শরীর ঠাণ্ডা করতে পানিফলের জুড়ি নেই। শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে দারুণ কাজ দেয় এই পানিফল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর পানিফলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ভাইরাল গুণ রয়েছে। এমনকি অ্যান্টিক্যানসার হিসেবেও কাজ করে পানিফল। বমিভাব, হজমের সমস্যা দূর করতে পানিফলের জুড়ি নেই। অনিদ্রা, দুর্বলতা দূর করতে কাজে দেয় এই ফল। পানিফল ঠাণ্ডালাগা, সর্দিতেও স্বস্তি দিতে পারে। ব্রঙ্কাইটিস, অ্যানিমিয়া কমাতে পারে এই ফল।

পটাশিয়াম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভাল কাজ করে পানিফল। ত্বক উজ্জ্বল আর সতেজ রাখতেও পানিফল অনবদ্য। পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন B, ভিটামিন E ভরপুর পানিফল চুল ভালো রাখে।

দারুণ কার্যকরী পানিফলের শাঁস শুকিয়ে রুটি বানিয়ে খেলে অ্যালার্জি ও হাত-পা ফোলা রোগ কমে যায়। বিছা বা পোকা কামড় দিলে আহত স্থানে পানিফল পিষে লাগালে ব্যথা দ্রুত সেরে যায়।

আরও পড়ুনঃ   মাত্র ৪ দিন খালি পেটে কিশমিশের পানি খান, তারপরই দেখবেন ফল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

9 + 17 =