নিজের জিন পরীক্ষার আগে জেনে নিন

0
211
জিন পরীক্ষা

কেউ কি কখনো জিনের জেনেটিক অবস্থা দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন? আধুনিক যুগে কাজটাকে সহজ করেছে অ্যানসেস্ট্রিডিএনএ, ২৩অ্যান্ডমি বা এমনই অনেক আমেরিকান প্রতিষ্ঠান। এমন এক ডজন প্রতিষ্ঠান মানুষের ডিএনএ’র চিত্রটা দেখিয়ে দেবে চোখের সামনে। এমনটি নিজের ডিএনএ’র মডেল প্লাষ্টিক টিউবে মধ্য ছবি আকারে সংরক্ষণ করতে পারবেন ই-মেইলে।

এর মাধ্যমে নিজের ডিএনএ’র পরীক্ষাও করা হবে। তবে সাধারণ মানুষ এই পরীক্ষা থেকে আসলে কি পেতে পারেন? এটা দেখে কি কেউ জানতে পারবেন যে, খুব দ্রুত তার স্তন ক্যান্সার দেখা দেবে? কিংবা দেহের কোনো রোগ আগত শিশুর দেহেও ছড়িয়ে পড়বে?

এ সম্পর্কে জানাচ্ছেন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির বায়োএতিসিস্ট এবং সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রফেসর রবার্ট ক্লিৎজম্যান। সম্প্রতি তিনি লিখেছেন ‘অ্যাম আই মাই জিন?’ বইটি। তার কাছ থেকেই জানা যায়, জেনেটিক বিষয়টি আসলে খুব বেশি  জটিল নয়।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে আসলে ডিএনএ’র এই পরীক্ষা বলতে পার না আপনার সন্তান ভবিষ্যতে কোনো রোগে আক্রান্ত হবে কিনা। সাধারণত মানুষের দেহে একটি জিনের দুটো কপি থাকে। একটি বা দুটোই কোনো রোগের জন্য দায়ী হতে পারে। একটি গঠিন হয় বাবা-মা উভয়ের কাছ থেকে। কোনো রোগের সঙ্গে এই জিনটির মিউটেশন ঘটতে পারে। তার মানে এই নয় যে, মিউটেডেট জিন থাকা মানেই কোনো রোগ বাসা বাঁধবে দেহে।

জিনে মিউটেশন থাকার অর্থ এই নয় যে রোগটি হবেই আপনার। তবে এটা বোঝায় যে, রোগটি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে আপনার। বিশেষ করে যদি পরিবার ও বংশে কারো ওই রোগ থাকে, তবে আপনার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ছাড়া বিষণ্নতা বা দুশ্চিন্তার মতো অন্যান্য মানসিক রোগের ক্ষেত্রে জিনের চিত্রটা আরো বেশি ঘোলাটে। একে একটি বা দুটি জিনের বৈশিষ্ট্যের মধ্য পর্যবেক্ষণ করা যায় না। এর অনেকটা মানসিক বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে, যা বুদ্ধিমত্তা বা বিষণ্নতার মতো বিষয়। এ তথ্য ২০১৪ সালে ‘জার্নাল অব জেনেটিক কাউন্সেলিং’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে প্রদান করেন ক্লিৎজম্যান। বুদ্ধিমত্তা গঠনে ১০০টি ভিন্ন ভিন্ন জিন সক্রিয় থাকতে পারে। তাই কোনো মানসিক অবস্থা বুঝতে এদের মধ্যে কয়েকটি জিন নিয়ে পরীক্ষা করা যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ   শরীরের ১৫টি সাধারণ সমস্যা এড়িয়ে গেলে বিপদের ভয়, বলছেন চিকিৎসকরা

যদি ডিএনএ’র পরীক্ষা থেকে রোগের ঝুঁকি বুঝতেই চান, তবে পরিবেশ এবং আচরণও বিবেচনায় আনা অতি জরুরি বিষয়। কেবল জিনই নয়, এই দুটো জিনিসও রোগ সৃষ্টির অন্যতম কারণ হয়ে থাকে। আমরা যা খাই, যেভাবে জীবন কাটাই তার সবকিছুই রোগ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। ক্লিৎজম্যান মনে করেন, বিষণ্নতার মতো সমস্যার ৫০ শতাংশ নির্ভর করে জেনেটিক অবস্থার ওপর। আর ৫০ শতাংশ নির্ভর করে পরিবেশের ওপর।

জেনেটিক টেস্টের মাধ্যমে নিজেকে পুরোপুরি বুঝে ওঠার মতো কোনো প্রামাণ্য পরীক্ষা এখনো নেই। ২০০৪ সালে সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এমন এক সিস্টেম আনে যার মাধ্যমে ১০০০ ধরনের জেনেটিক পরীক্ষা করা সম্ভব। এই সংস্থার একটি দল বেশ কয়েকটি রোগের নাম প্রকাশ করেছে। এগুলো শনাক্ত করতে তারা জেনেটিক টেস্টের কথা বলেন। কিন্তু অন্যান্য সব রোগের জন্য জিন যে তথ্য দিতে পারে তা নিশ্চিত করে বলা যায়া না।

তাই যারা এসব পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের সম্পর্কে ধারণা পেতে চান, দেখা যাবে ফলাফল দেখে বেশ অবাক হয়েছেন। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

বিঃ দ্রঃ গুরুত্বপূর্ণ হেলথ নিউজ ,টিপস ,তথ্য এবং মজার মজার রেসিপি নিয়মিত আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে লাইক দিন আমাদের ফ্যান পেজ বিডি হেলথ নিউজ এ ।

যে ৬ অভ্যাস আপনাকে বুড়ো হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 + one =