নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এজাজ

0
203
নিউক্লিয়ার মেডিসিন , ডা. এজাজ

দেশ সেরা ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার এবং নির্মাতা হুমায়ুন আহমেদের অবিস্কার জনপ্রিয় অভিনেতা এজাজ। অভিনয় জীবন ছাড়াও তার আরেকটি পরিচয় তিনি ডা. এজাজ। অভিনয় জীবন ছাপিয়ে তিনি জনপ্রিয় চিকিৎসা ক্ষেত্রেও। ভিজিট ফি কম ও গরীব-দুঃখীদের বিনা পারিশ্রমিকে চিকিৎসা প্রদানের কারণেও জনপ্রিয় এজাজকে ডাকা হয়  ‘গরীবের ডাক্তার’ নামে।চিকিৎসাক্ষেত্রে সব কাজেই দ্বায়িত্ব থাকে খুব। তবে গরীবের ডাক্তার এজাজ পেয়েছেন আরও বড় দ্বায়িত্ব। ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি সবাইকে জানালেন নির্মাতা অনিমেষ আইচ।

অনিমেষ বলেন, দেশের মানুষের কাছে তিনি একজন স্বনামধন্য অভিনেতা পাশাপাশি একজন সুচিকিৎসক। সম্প্রতি তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হয়েছেন, অবশ্যই এটি আমাদের জন্য গর্ব ও আনন্দের। কিন্তু এ নিয়ে কোন সংবাদ দেখলাম না কোন পত্রিকা কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলে। অথচ কার সঙ্গে কার ডিভোর্স হলো, কার সুন্দরী হওয়ার নেপথ্য ইতিহাস কি? এনিয়ে জাতির মাথা ব্যাথার অন্ত নাই। মিডিয়ার মানুষদের বিজয়ের গল্প ও সাধারন মানুষদের জানা দরকার। এ ইতিহাস কেবল কিছু বিভ্রান্তির গল্পে সীমাবদ্ধ নয়। অভিনন্দন এজাজ ভাই।

যোগদানের বিষয়ে ডা. এজাজ বলেন, চিকিৎসক হিসেবে ব্যস্ততা তো আগে থেকেই ছিল। এখন নতুন দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ততা আরেকটু বেড়েছে। সবাই আমাকে অভিনয়শিল্পী হিসেবে ভালোবাসেন। এই ব্যস্ততার মাঝেও যখনই সময় বের করতে পারবো অভিনয় করবো। একই সঙ্গে চিকিৎসক হিসেবে আমার দায়িত্বও ঠিকভাবে পালন করে যাবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

উল্লেখ্য, ডা. এজাজুল ইসলাম রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) থেকে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।সাবলীল অভিনয় নৈপুণ্যে নজর কেড়েছেন ডা. এজাজ। ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন ‘তারকাঁটা’ চলচ্চিত্রের জন্য।

আরও পড়ুনঃ   স্ট্রোকের রোগীর মস্তিষ্ক কার্যক্ষম করে যে ভেষজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × five =