চোখে যিনি দেখেন না তিনিই বোঝেন এই পৃথিবীর কী মর্ম। চোখ মানুষের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের তুলনায় একটু বেশি স্পর্শকাতর। চোখের মাধ্যমেই আমরা দেখছি সুন্দর এই পৃথিবীকে।
তাই চোখের সুস্থতা অতীব জরুরি। অবস্থানগত কারনেই চোখ সব সময় সুরক্ষিত থাকে। চোখের পানি সাধারণত ধূলা-বালি ও রোগজীবাণু ধুয়ে ও ধ্বংস করে চোখকে সুস্থ রাখে।
চোখ ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায় হচ্ছে-
১। ফল ও সবজিঃ চোখ ভাল রাখতে গাজরের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি, বাদাম, কমলালেবু ইত্যাদি খান। টাটকা শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি থাকে। যা চোখের কর্নিয়া ভাল রাখতে সাহায্য করে। ছানি পড়ার হাত থেকেও বাঁচায়।
২। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডঃ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের স্নায়ুকোষগুলিকে সুস্থ রাখে। রেটিনাকে সুরক্ষিত রাখে। তাই চোখ ভাল রাখতে স্যামন, টুনা, হ্যালিবাটের মতো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ খান।
৩। ধূমপান ত্যাগ করুনঃ অতিরিক্ত ধূমপান চোখের ক্ষতি করে। রেটিনা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে বেশি। পাশাপাশি, এর ফলে ক্ষতি হয় চোখের স্নায়ুকোষগুলিরও। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধূমপান ছেড়ে দেবার চেষ্টা করুন।
৪। চোখে পানির ঝাপটা দিনঃ দিনে কয়েকবার চোখে জলের ঝাপটা দিন। তাতে চোখ ঠান্ডা থাকে। চোখ আর্দ্র হয় ও রক্তসঞ্চালন বাড়ে। তবে বরফজল বা মাত্রাতিরিক্ত গরম জল দেবেন না, এতে আবার চোখের রেটিনার ক্ষতি হতে পারে।
৫। পর্যাপ্ত ঘুমঃ প্রতি দিন রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে চোখ ভাল থাকে। ঘুমের সময় চোখের পেশি শিথিল হয়। চোখও সতেজ থাকে। কম ঘুমে চোখের পেশিতে চাপ পড়ে। ফলে চোখ জ্বালা হতে পারে। তাই এখন থেকে পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন।
৬। নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করুনঃ বছরে অন্তত দু’বার নিয়ম করে চোখ পরীক্ষা করানো জরুরি। এতে ছানি, গ্লুকোমা বা রেটিনার ম্যাকুলার ক্ষয়ের মতো মারাত্মক সমস্যা অল্পেই ধরা পড়ে।
৭। চশমা ব্যবহারে সচেতন হতে হবেঃ যাঁদের চোখে চশমা প্রয়োজন, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমত দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করে চশমা পরা উচিত। অনেকেই নিজের মনমতো দৃষ্টিশক্তির চশমা ব্যবহার করেন। এটা চোখের জন্য ক্ষতিকর।