বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে ১৫ শতাংশের বেশি এখন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা হৃদরোগের মাধ্যমে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য প্রধানত দায়ী করা হয় উচ্চ রক্তচাপকে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষকরা।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে শুরু হচ্ছে নতুন আন্তর্জাতিক গবেষণা কার্যক্রম। গবেষণার আওতায় একটি উন্নত স্বাস্থ্য পদ্ধতির ভিত্তিতে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীর সমন্বয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং স্বল্প খরচে পদ্ধতির কার্যকারিতা যাচাই করা হবে।
সূত্র জানায়, নতুন এ গবেষণা কার্যক্রমকে কোবরা-বিপিএস হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এতে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা—ডিএফআইডির গ্লোবাল হেলথ ট্রায়ালস প্রকল্প, মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল ও দ্য ওয়েলকাম ট্রাস্ট।
গবেষণার লক্ষ্য হলো, স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নে বিভিন্ন পদ্ধতি সমপর্কে নতুন জ্ঞান অর্জন করা, যা দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা যায়। গবেষণার বাংলাদেশ অংশের তত্ত্বাবধান করবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)। সিঙ্গাপুর গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল স্কুলের ডিউক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তাজিন জাফর ত্রিদেশীয় গবেষণাটির নেতৃত্ব দেবেন।
গবেষণা সূত্র জানায়, গবেষণায় তিন দেশের ৩০টি গ্রামে দুই হাজার ৫০০ রোগীকে তিন বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হবে। বাংলাদেশ অংশে গবেষণা পরিচালিত হবে টাঙ্গাইল জেলায়, যা আগামী মাস নাগাদ শুরু হবে।
গবেষকরা জানান, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকির বিষয়টি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রায়ই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয় না। তাই দক্ষিণ এশিয়ার গ্রামাঞ্চলে মানুষের উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কার্যকর উপায় বের করার জন্য আইসিডিডিআর,বির অসংক্রামক রোগ প্রোগ্রামের বিজ্ঞানীরা ও তাঁদের আন্তর্জাতিক সহযোগীরা সম্মিলিতভাবে গবেষণাটি পরিচালনা করবেন।