ছোট ছোট সাদা ফুল থেকে হয় কালচে তিলের দানা আর এ থেকেই হয় তিলের তেল। তিলের যেমন পুষ্টিগুণের অভাব নেই, তেমনি নেই তিলের তেলেরও।
রান্নায়ও তিলের তেলের সমান গুরুত্ব। তিলের তেলের ব্যবহারে ত্বক হয় সজীব। যাঁদের ত্বকে রোদে পোড়া ভাব রয়েছে, তাদের ওই পোড়া দাগ দূর করতে পারেন এ তেল ম্যাসাজের মাধ্যমে। এই তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়। মাথাও ঠান্ডা থাকে।
শীতের সময় রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য কর্পূর তিলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে উষ্ণতা পাওয়া যায়। তিলের তেল চুলের খুশকিও দূর করে।
এ জন্য সপ্তাহে একবার নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন। এগুলো আমারা অনেকেই জানি কিন্তু আজ জানবো তিলের তেলের আরও চমকপ্রদ কিছু পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা:
এন্টি প্রদাহজনক – এটা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ যা এইডস সহ যে কোনো প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট – তিলের তেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পুষ্টি সহজে নষ্ট হয় না।
এন্টি ডায়াবেটিক – ডায়াবেটিস দূর করে দেয়।
হ্যপোটেনসিভ – রক্তচাপ কমায়।
বিরোধী ব্যাকটেরিয়া – ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
এন্টি-আরথেরোজেনিক – অথেরোস্ক্লেরোসিস এর ঝুঁকি হ্রাস করে।
বিরোধী উপশমকারী – বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন কমায়।
ডিএনএ সুরক্ষা – তিলের তেল, বাইরের ক্ষতি থেকে শরীরের কোষের ডিএনএ সুরক্ষিত রাখে, বিকিরণের মত।
ক্যান্সার বিরোধী – গবেষণায় দেখা গেছে তিলের তেল ক্যান্সারের বৃদ্ধি দমন করতে সহায়তা করে।
উপশমকারী – শুষ্ক ত্বকের জন্য চমৎকার ময়েশ্চারাইজার ।
এন্টি বার্ধক্য – তিলের তেল শক্তিশালী বার্ধক্য বিরোধী হিসেবে কাজ করে।
স্কিন পুনর্গঠন – এটি মরা চামড়া ও কোষের মেরামত করতে সাহায্য করে তা সুন্দর ও লাবণ্যময় করে তোলে।
সানস্ক্রিন – এটা একটি প্রকৃতি প্রদত্ত সানস্ক্রীন যা রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করে।তিলের তেলের ব্যবহারে ত্বক হয় সজীব। রোদে পোড়া ভাব দূর করতে এই তেল খুবই উপকারী।
এন্টি-বাতগ্রস্ত – এটা বাতগ্রস্ত রোগীদের জন্য আয়ুর্বেদীয় তেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি রিউম্যাটয়েড চিকিত্সায়ও ব্যবহার করা হয়।
রেচক ঔষধ – দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরিত্রাণ প্রদান করে।
–সূত্র: ওয়েল হেলথ বেনিফিট।
সম্পাদনা: তাহমিনা শাম্মী।