সব থেকে ভাল প্রোটিনের উৎস ডিম। এতে নয়টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সঠিক মাত্রায় থাকে। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন নামের প্রোটিনটি ভাল মতো থাকে। নিয়মিত মাছ-মাংস না খেলে অবশ্যই ডিম খাওয়া দরকার। কম তেলে ডিম রান্না করা যায়। যেটা মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে হয় না। দরকারে সেদ্ধও খাওয়া যায়।
ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল (১৫০-২০০ মিগ্রা) যথেষ্ট থাকলেও ভয় নেই। কারণ সেই কোলেস্টেরল রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বাড়ায় না। উল্টে ডিমের লেসিথিন নামের যৌগটি কোলেস্টেরলকে কোষে নিয়ে গিয়ে শক্তি তৈরি করে। সুতরাং শক্তির উৎসও বটে ডিম।
এবার জেনে নিন ডিম নিয়ে মহা মূল্যবান ১০টি টিপস:-
১. ডিম কড়া সিদ্ধ খাবার চাইতে আধা সিদ্ধ বা পানি পোঁচ খাওয়ান বাচ্চাদের। এতে পুষ্টি বেশি পাওয়া যাবে।বিপরীত মত হচ্ছে ডিমের একটাই দোষ। ডিমের খোলায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। ডিম বেরোয় পাখির মল বেরোনোর রাস্তা দিয়ে। সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া ছিদ্র মাধ্যমে ঢুকে পড়ে ডিমে। তাই ডিম কখনওই কাঁচা বা অর্ধসেদ্ধ খাওয়া উচিত নয়। খেলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হয়ে পেটের গণ্ডগোল হয়। বিশেষ করে বর্ষাকাল বা গরম কালে। মুরগির ডিম বা হাঁসের ডিম দুটোই খাওয়া যায়। কিন্তু হাঁসের ডিম খাওয়ার সময় সেটি হার্ড বয়েল (অন্তত আধ ঘণ্টা সেদ্ধ) করে খাওয়া দরকার।
২. অনেক সময়েই ডিমের খোসা ছিলতে গেলে ভেঙ্গে যায় ডিম, খোসার সাথে সাদা অংশটাও উঠে আসে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে এক চামচ বেকিং সোডা দিয়ে দেবেন ডিম সিদ্ধ এর পানিতে।
৩. ডিমের সরু অংশটা উপরের দিক করে ডিম রাখুন কেসের মাঝে। ডিম ভালো থাকবে অনেকদিন।
৪. অমলেট করার সময় সামান্য একটু দুধ মিশিয়ে দিতে পারেন। অমলেট নরম আর ফুলকো হবে।
৫. রুক্ষ চুলের জন্য ডিম অসাধারণ এক প্রোটিন প্যাক। কেবল ফেটিয়ে নিয়ে চুলে মাখুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
৬. ডিমের সমস্ত ক্যালরির বেশিরভাগ থাকে তার কুসুমে। একটা ডিমের সাদা অংশে মাত্র ৫০ ক্যালোরি।
৭. চুনের পানিতে ডিম চুবিয়ে রাখলে ডিম দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। ফ্রিজে রাখলে থাকে আরও বেশিদিন।
৮. ডিম পোঁচ করার সময় তেলের মাঝে আগে একটু লবণ দিন, তারপর ডিম। তাহলে আর প্যানে লেগে যাবে না।
৯. সিদ্ধ ডিম তেলে ভাজার সময় কাঁটা চামচ দিয়ে কেঁচে নিন। নাহলে ফুটে উঠে বিরাট দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
১০. আগুনে পুড়ে গেলে সাথে সাথে ডিমের সাদা অংশ লাগিয়ে দিন। আরাম তো হবেই, ফোসকা পড়বে না এবং দ্রুত সেরেও যাবে।