প্রেগনেন্সি সব নারীদের জন্যই উত্তেজনাপূর্ণ আনন্দময় অভিজ্ঞতা। তারা প্রেগনেন্সি নিশ্চিতের প্রত্যাশায় থাকেন। এই ব্যাপারটি প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরে বসেই নিশ্চিত হওয়া যায়। যদিও এখন মহল্লার ফার্মেসিতেও প্রেগনেন্সি টেস্টের কিট পাওয়া যায়। কিন্তু গুগল ট্রেন্ড অনুযায়ি, বহুসংখক নারীই এখন নিজেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করে থাকেন। আর এই পদ্ধতি হচ্ছে টুথপেস্ট প্রেগনেন্সি টেস্ট।কিভাবে এই পদ্ধতি কাজ করে: একটি পাত্রে সামান্য পরিমান টুথপেষ্ট নিন এবং এর মধ্যে সকালে সংগৃহীত প্রস্রাব মেশান। যদি টুথপেস্টের রঙ নীল হয়ে যায় বা টুথপেস্ট ফেনাদার হয়ে ওঠে তবে আপনি প্রেগনেন্ট। যদি এটির রং পরিবর্তন না হয় তাবে এটি নেগেটিভ। গর্ভাবস্থা শনাক্ত করার এটি সবচেয়ে সহজ একটি উপায়।
টুথপেস্ট প্রেগনেন্সি টেস্ট ঠিক কবে থেকে চালু হয়েছে তার কোন স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি একটি ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, এই পদ্ধতিতে নারীরা প্রাচীনকাল থেকেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করে আসছেন, যখন ফার্মেসিতে প্রেগনেন্সি টেস্টের পাওয়া যেত না। বিজ্ঞানীরা ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা নারীদের এই পদ্ধতিকে খুব বেশি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেন না। গত মে মাসে ফার্মাসিস্ট স্টুয়ার্ট গাল হাফিংটন পোস্টে জানিয়েছেন, ইউরিনের এসিডের কারণে টুথপেস্ট ফেনাদার হয়ে ওঠে। তিনি আরও জানান, ইউরিনের এসিডের পরিমান যত বেশি থাকবে, টুথপেস্ট থেকে তত ফেনা উঠতে থাকবে।
টুথপেস্ট প্রেগনেন্সি টেস্ট না করে অন্য পদ্ধতি গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার জানিয়েছেন, গর্ভবতী নারীদের ইউরিনে এসিডের পরিমান কম থাকে, তাই যখন টুথপেস্টের সঙ্গে ইউরিন পুরোপুরিভাবে মিশে যায় তখন এটি থেকে ফেনা উঠতে থাকে। তাই অনেক নারীর পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেন না তিনি প্রেগনেন্ট কিনা।
আরও পড়ুনঃ বাড়িতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করছেন? জেনে নিন এই তথ্যগুলো
সায়মা শারমিন