ঘরে বসে ঘি তৈরি করবেন যেভাবে

0
2835
ঘি

ঘরে তৈরি ঘি’র রয়েছে নিজস্ব স্বাদ ও গঠন। এটা জানা বিষয় যে ঘি’র রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। তবে ঘরে বসে ঘি বানানো অতটা কঠিন নয় যতটা ভাবা হয়। এখানে রইল ঘরে ঘি বাননোর প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করার কয়েকটি টিপস।

ক্রিম তৈরি করুন : একটি নিরাপদ কনটেইনারে প্রতিদিন ক্রিম সংরক্ষণ করুন। হয় উচ্চমানসম্পন্ন প্লাস্টিক বা একটি স্টিল কনটেইনারে। আপনার সেদ্ধ করা দুধ ঠাণ্ডা হওয়ার পর ক্রিমের একটি স্তর গঠিত হয়। ক্রিমের এই স্তরটি সংগ্রহ করে একটি কনটেইনারে সংরক্ষণ করুন। এরপর তা ফ্রিজে রেখে দিন।

এভাবে তিন থেকে চার দিন দুধ সেদ্ধ করার পর তৈরি হওয়া ক্রিমের স্তর দিয়ে কনটেইনারটি ভরতে থাকুন। এরপর যখন আপনার মনে হবে, ঘি তৈরির জন্য যথেষ্ট পরিমাণ ক্রিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়েছে তখন ঘি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করুন।

পদ্ধতি :
– ফ্রিজ থেকে ক্রিম নামিয়ে আরো বড় একটি কড়াইয়ে রাখুন। এরপর এক থেকে দুই ঘণ্টা ধরে ক্রিমগুলোকে গলতে দিন।
– এরপর হালকা আগুনে ঘাঁটাঘাটি করে ক্রিমগুলোকে আরো ভালোমতো গলতে সহায়তা করুন। ঘি তৈরিতে কতক্ষণ সময় লাগবে তা নির্ভর করছে ক্রিমের পরিমাণের ওপর। এভাবে ঘি ক্রিমের গাঁদ থেকে আলাদা হয়ে কড়াইর তলায় জমা হতে থাকবে।
– এরপর কড়াইটি ঠাণ্ডা করে ঘিটুকু ছেঁকে নিয়ে কনটেইনারে স্থানান্তর করুন। ঘি ছাঁকার পর যে ক্রিমের গাঁদ অবশিষ্ট থাকবে তা ফেলে দিন।
– ঐতিহ্যগতভাবে সাধারণত সেন্ট্রিফিউজ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে আরো বেশি পরিমাণ ঘি উৎপাদন করা যায়। তবে, যেহেতু এতে প্রচুর পরিমাণ সময় লাগে সেহেতু সরাসরি ক্রিম থেকেই ঘি উৎপাদন করাটাই ভালো। এ পদ্ধতিতে ঘরে বসে অল্প সময়েই যথেষ্ট পরিমাণ ঘি উৎপাদন সম্ভব।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া

উপরের কোন অংশ কঠিন মনে হলে নিচের অংশ পড়ুন

আরও পড়ুনঃ   সকালে খালি পেটে ঘি খেলে কী হয়?

বাজারের ঘি খাঁটি কিনা সেটার নিশ্চয়তা নেই। খাঁটি ঘি খেতে চাইলে তাই নিজেই বানিয়ে ফেলুন । এজন্য খুব বেশি ঝক্কিও পোহাতে হবে না। প্রতিদিন দুধ জ্বাল দেওয়ার পর যে সর পরে, সেটি উঠিয়ে মুখবন্ধ বয়ামে করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। কিছুদিনের মধ্যেই ঘি বানানোর মতো সর জমে যাবে।

জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন ঘি-

ফ্রিজে জমিয়ে রাখা দুধের সর বের করে গলিয়ে নিন। মিহি করে বেটে নিন সর। বাটা সর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুব সাবধানে পানি আলাদা করুন সর থেকে। অতিরিক্ত পানি আলাদা করার জন্য পাতলা কাপড়ে করে কয়েক ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখতে পারেন সর।
পানি ঝরানো হলে চুলায় মৃদু আঁচে প্যান দিয়ে বাটা সর নাড়তে থাকুন। সরের পরিমাণের উপর নির্ভর করবে ঘি তৈরি করতে কতটুকু সময় লাগবে সেটা। ধীরে ধীরে প্যানের তলায় ঘি জমতে থাকবে।

চুলা থেকে প্যান নামিয়ে নিন। ঘি ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে বয়ামে সংরক্ষণ করুন।

সকালে খালি পেটে ঘি খেলে কী হয়?

বিঃ দ্রঃ গুরুত্বপূর্ণ হেলথ নিউজ ,টিপস ,তথ্য এবং মজার মজার রেসিপি নিয়মিত আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে লাইক দিন আমাদের ফ্যান পেজ বিডি হেলথ নিউজ এ ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 5 =