১. ওজন নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে
গোলাপের পাপড়ি তে বিদ্যমান যৌগ মেটাবলিজমকে উন্নত করে এবং দেহের বিষ দূর করে যা ওজন কমাতে খুবই কার্যকরি। এক মুঠ গোলাপ পাপড়ী সেবনে সেন্স কে উন্নত করবে এবং আপনাকে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার গ্রহন থেকে দূরে রাখবে যা ন্যাচারাল ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। আরো জানতে পারেন…… যেই ৫টি ফল নিমিষেই দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে……… নিমিষেই দূর করুন দেহের অতিরিক্ত চর্বি …… জেনে নিন যেই খাবারগুলো শরীরকে নিমিষেই বিষ মুক্ত রাখবে
টিপস
এক গ্লাস গরম পানিতে ১০-১৫টি গোলাপের পাপড়ি ছেড়ে দিন এবং অপেক্ষা করুন যতক্ষন পর্যন্ত পানি গোলাপি রং ধারন না করে। এর মধ্যে আপনি সামান্য পরিমাণ মধু এবং এক চিমটি দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে নিন। এই পানীয় পান করুন প্রতিদিন সকালে যা আপনার দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
২. মানসিক চাপ এবং হতাশা দূর করে
হতাশা এবং মানসিক চাপ সাধারণত আসে অনিদ্রা এবং বিশ্রামহীনতার অভাবে যা অত্যন্ত বিরক্তবোধ এবং উদাসীনতা সৃষ্টি করে। গোলাপের পাপড়ি এবং এর নির্যাস এই ধরনের সমস্যা দূর করনে অধিক কার্যকরি। Department of Physiology and Pathology/LTF, University of Paraíba-Caixa এর একটি গবেষণা অনুসারে যখন গোলাপের নির্যাস যখন নাক দিয়ে নিঃশ্বাসের সাথে নেওয়া হয় তখন তা চরম প্রশান্তি সৃষ্টি করে। আরো জানতে পারেন …… অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ ঘরোয়া উপায়
টিপস
গরম পানিতে কিছু গোলাপ পাপড়ি ছিটিয়ে নিন এবং সেই পানি দিয়ে গোসল করুন। গরম পানির তাপে গোলাপের সুগন্ধ পুরো ওয়াশরুমে ছড়িয়ে যাবে যা আপনার মনকে অনেক প্রশান্তি দিবে এবং দেহ কে করবে প্রফুল্ল।
৩. কামশক্তি বৃদ্ধিতে
পৃথিবীতে গোলাপ শুধু মাত্র ভালোবাসারই চিহ্ন নয় পাশাপাশির এর রয়েছে কামশক্তি বৃদ্ধির অন্যতম ক্ষমতা। আয়ুর্ভেদা অনুসারে কামভাবনাকে আরো প্রশান্তিদায়ক করতে গোলাপের পাপড়ির অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। তাদের মতে গোলাপের পাপড়ির দুটি উপকারী ডোজ আপনার দেহ, মন, হৃদপিন্ড এবং নার্ভাস প্রক্রিয়াকে পরিচালিত করতে সহায়তা করে যা সঙ্গমে আপনাকে দীর্ঘস্থায়ী করে তুলবে।
টিপস
কিছু গোলাপ পাপড়ি নিয়ে তা ভালো করে ধুয়ে নিন এবং প্রতিদিন খেতে পারেন এতে আপনি শুধু শক্তিশালী এবং সতেজই অনুভব করবেন না পাশাপাশি আপনাকে সেক্সুয়ালি সক্রিয় রাখবে।
৪. পাইলস সমস্যা দূরি করনে সাহায্য করে
জি আপনি সঠিক শুনেছেন, গোলাপের পাপড়ী পাইলস দূরি করনে খুবই সহয়ায়তা করে। এর অন্যতম কারন হচ্ছে এর মধ্যে রয়েছে ফাইবার এবং পানি এছাড়াও রয়েছে হজম শক্তি বৃদ্ধিকারি যৌগ যা দেহে বিষ বের করে দিতে সাহায্য করে। ব্লিডিং পাইলস দূরি করনে এবং তৎক্ষণাৎ ব্যাথা দূর করনে খুবই কার্যকরি।
টিপস
একমুঠ গোলাপ পাপড়ি নিন এবং ৫০ml পানি মিশিয়ে হামান দিস্তায় পিষিয়ে নিন। এইবার খালি পেটে খেয়ে ফেলুন। এইভাবে ৩ দিন সেবন করুন তাতে আপনি ব্লিডিং পাইলস থেকে মুক্তি পাবেন।
৫. ত্বকের সুরক্ষায়
ত্বকের সুরক্ষায় গোলাপ জল অনেক উপকারী বিশেষ করে সেনসিটিভ ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে, ত্বকের তৈলাক্ততা সমাধানে, ত্বককে সফট করতে খুবই কার্যকরি। ত্বকের সুরক্ষার ক্ষেত্রে গোলাপ জলকে বেছে নেওয়াটা খুবই বুদ্ধিমানের কারন এটি ত্বকের গভীরে পরিষ্কার করে যা আপনার ত্বককে অনেক বেশি নবীন করে তুলে। গোলাপ পাপড়িতে বিদ্যমান এন্টিওক্সিডেন্ট এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল যৌগ যা ত্বকের ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে দেয় প্রশান্তি এবং ঘামাচি ও চুলকানি থেকে দূরে রাখে। আরো জানতে পারেন…… ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে যেই ৪টি মাস্ক না ব্যাবহার করলেই নয় …… ত্বককে উজ্জ্বল করার ৭টি ঘরোয়া উপায়…… নিমিষেই দূর করুন ত্বকের তৈলাক্ততা
টিপস
আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনের বাইরেও আপনি প্রতিদিন গোলাপ জলের ছিটা ত্বকের লাগাতে পারেন এতে আপনার ত্বক অনেক বেশি গ্লো হয়ে উঠবে।
৬. ব্রন সমস্যা দূরি করনে
আপনি যদি ব্রন সমস্যায় ভুগে থাকেন আর এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে চান তাহলে একমাত্র গোলাপ জল আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। গোলাপের পাপড়ির এন্টিব্যাক্টেরিয়াল যৌগ ব্রন সমস্যা দূর করনে অতীব কার্যকরি। এছাড়াও ফেনিল ইথানল, এন্টিসেপ্টিক যৌগ যা গোলাপ জলে বিদ্যমান তা ব্রনের সমস্যা দূর করবে নিমিষেই। আরো জেনে নিন…… ব্রন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়
টিপস
সারা রাত ধরে মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং গোলাপ জল দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। ফেইসে লাগিয়ে নিন এবং ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৭. ঠোঁটের কালার উজ্জ্বল করুন
গোলাপ ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে। এটি শুধু ঠোঁটের উজ্জ্বলতাই বৃদ্ধি করবে না পাশাপাশি ঠোঁটকে অনেক সফট এবং গোলাপি করে তুলবে। এছাড়াও গোলাপের পাপড়ি ঠোঁট ফাটা দূর করতে সাহায্য করবে। আরো জেনে নিতে পারেন ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করুন……কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ঘরোয়া সমাধান
টিপস
দুধের সর এবং কয়েক ফোটা মধু গোলাপের পাপড়ির সাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এখন আপনি পেস্টটি ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট রাখুন এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সতর্কতা
যাদের এলার্জিজনিত সমস্যা আছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর ব্যাবহার করুন।
আশা করি ভালো লেগেছে, তাহলে শেয়ার করে বন্ধুদেরকে জানিয়ে দিন।
হযরত রসূল (স)’র ‘শিঙ্গা লাগানো’ কাপিং থেরাপি এখন আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা!