ক্যান্সার, মাইগ্রেনসহ নানা রোগ প্রতিরোধক সূর্যমুখী তেল

0
383
সূর্যমুখী তেল

মানবদেহ সচল রাখতে যে খাদ্য উপাদানগুলো প্রয়োজন, তার মধ্যে তেল অন্যতম। বিভিন্ন রকমের তেল বাজারে পাওয়া যায়। যেমন আমাদের দেশে রান্নায় সাধারণত সয়াবিন তেলের ব্যবহার বেশি, আবার শ্রীলঙ্কায় রান্নাবান্নায় নারিকেল তেল ব্যবহার হয় প্রচলিত। তবে রান্নাকে সুস্বাদু করে তুলতে জলপাইয়ের তেল, বাদামের তেল, সূর্যমুখীর তেলেরও ব্যবহার রয়েছে। একেক রকম তেলের কাজ একেক রকম।

সূর্যমুখী তেল:
সূর্যমুখী অসাধারণ সুন্দর একটি ফুল। সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে যে তেলটি তৈরি হয়, তাতে আছে ভিটামিন এ, ডি ও ই। বেকিংয়ের জন্য এই তেল খুব ভালো। ড্রেসিংয়েও ব্যবহার করা হয়। এটি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ক্ষতিকর কোলস্টেরল কমায়। এই তেল ক্যানসার ও অ্যাজমা রোগের প্রতিষেধক। তাই বীজ এবং তেল উভয়েই সমান উপকারী।

# সূর্যমুখী বীজের সেলেনিয়াম (কেমিক্যাল) দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

# মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। সূর্যমুখীর ম্যাগনেসিয়াম উপাদান আমাদের মানসিক চাপ দূর করে, মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করে এবং আমাদের মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।

# ১/৪ কাপ সূর্যমুখী বীজ আমাদের হার্ট এর সমস্যা থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক আলসার, দেহের চামড়ায় জ্বালা-পোড়া, হাঁপানি ইত্যাদি রোগ সারাতে সাহায্য করে। এই বীজ আমাদের দেহের অপ্রয়োজনীয় কলেস্টরোল দূর করে আমাদের হার্টকে ভলো রাখে।

# সূর্যমুখীর বীজ কিংবা তেলের ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও কপার আছে। দেহের বাতের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে এই সূর্যমুখী তেল।

# ভিটামিন-ই যা আমাদের ত্বককে রক্ষা করে সূর্যের আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করা পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।

তাই সুস্থ থাকতে, আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন সূর্যমুখী বীজ, বাদামের মত ভেজে, সালাদ দিয়ে অথবা পাস্তা, স্যান্ডুইচে।

বিঃ দ্রঃ গুরুত্বপূর্ণ হেলথ নিউজ ,টিপস ,তথ্য এবং মজার মজার রেসিপি নিয়মিত আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে লাইক দিন আমাদের ফ্যান পেজ বিডি হেলথ নিউজ

আরও পড়ুনঃ   নিয়মিত তোকমা পানের উপকারিতা জানেন কি?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen − 11 =