ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় জোঁকের থুতু!

0
296
জোঁকের থুতু

জোঁকও কাজে লাগছে চিকিৎসায়। এই থেরাপির নাম দেওয়া জোঁক থেরাপি। এই ২১ শতকে লিচ থেরাপি এতটা জনপ্রিতা পেলেও প্রাচীন কালেও কিন্তু একাধিক রোগের চিকিৎসায় জোঁককে কাজে লাগানো হত। জোঁককে কাজে লাগিয়ে আজকাল সারিয়ে ফেলা সম্ভব হচ্ছে একের পর এক জোটিল রোগ। একাদিক গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে জোঁক বাস্তবিকই নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন ধরুন

১। হার্টের চিকিৎসায়ঃ
২০১১ সালে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা যায় ঠিক পদ্ধতিতে জোঁককে ব্যবহার করলে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। আসলে জোঁকের স্যালাইভা বা থুতু এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অলটারনেটিভ মেডিসিন রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা পত্রে আরও দাবি করা হয়েছিল যে ব্লাড ক্লট এবং পা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা কমাতেও এই অভিনব পদ্ধতিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২। ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায়ঃ
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে চিরাচরিত ওষুধের পাশাপাশি ক্যান্সার রোগীর শরীরে যদি জোঁকের স্যালাইভা প্রবেশ করানো যায়, তাহলে ব্রেস্ট, মেলানোমা, লাং এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের প্রকোপ অনেকাংশেই কমিয়ে নেয়া সম্ভব হয়। জোঁকের থুতুতে থাকা গিলেন্টেন নামক একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩। ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায়ঃ
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, রক্তে শর্করারা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ডায়াবেটিসের কারণে হওয়া নানাবিধ জটিলতা, যেমন করনারি অ্যাথেরোস্কলেরোসিস, হাইপারগ্লাইসেমিয়া এবং অক্সিটেডিভ স্ট্রেস কমাতে জোঁক থেরাপি দারুন কাজে আসে।

৪। ছোঁয়াচে রোগের প্রকোপ কমায়ঃ
কেমোথেরাপি নামক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে জোঁকের শরীরে থাকা ডেস্টাবিলেস নামক এক ধরনের প্রোটিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করার পর সব ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলে রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। ২০০৩ সালে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে জোঁকের শরীরে থাকা নিউরোসিগনালিং এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড যে কোনও ধরেনর সংক্রমণকে কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আরও পড়ুনঃ   ক্ষুধা বাড়ে, আবার ওজন কমায় শীতকাল!

৫। অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসায়ঃ
জয়েন্টে পেনের কারণে কি একেবারে কাবু হয়ে পরেছেন। তাহলে একবার জোঁক থেরাপি করে দেখুন না! এমনটা করলে উপকার যে পাবেন। আসলে ব্যথা জায়গায় কিছু সময় জোঁককে রাখলে সেখানে রক্তের সরবরাহে উন্নতি ঘটে। ফলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen − 14 =