কুয়াশা শরীরের পক্ষে কতটা খারাপ?

0
444
কুয়াশা

বলতে বলতে শীতকাল প্রায় চলেই আসলো। শীতে কুয়াশা হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই কুয়াশা শরীরের জন্য খুবই খারাপ। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকার মতো বায়ু দূষণের ঘেরাটোপে থাকা শহরে যদি কেউ কুয়াশার মধ্যে অনেকটা সময় কাটান, তাহলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। বিশেষত ফুসফুসের।

প্রসঙ্গত, বড়দের থেকেও বাচ্চাদের শরীরের উপর কুয়াশের প্রভাব বেজায় ভয়ঙ্কর হয়। তাই তো এমন সময় বাচ্চাদের অতিরিক্ত সাবধানে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে শারীরিক ৬টি সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে:-

অ্যাজমা 
ঢাকা শহরের রাস্তায় আসা মানে ধুলো। এই পরিস্থিতিতে এমন দূষিত কুয়াশার মধ্যে সময় কাটালে স্বাভাবিকভাবেই ফুসফুসের অন্দরে দূষিত বায়ু ভরে যায়। ফলে অ্যাজমার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়া আশঙ্কা বাড়ে।

ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস 
কুয়াশার প্রভাবে সাধারণত যে যে রোগগুলি বেশি মাত্রায় মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ব্রঙ্কাইটিস। এক্ষেত্রেও ডাস্ট পার্টিকাল এবং দূষিত বায়ু ফুসফসুকে কমজোরি করে দিয়ে এমনসব রোগের পথকে প্রশস্থ করে। সেই কারণেই বাচ্চা এবং বয়স্কদের কুয়াশার মধ্যে বেরতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।

লাং প্রবলেম
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে কুয়াশার কারণে সারা দেহের মধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফুসফুসই। ফলে শ্বাস কষ্টের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। সেই কারণেই শীতকালে খুব সকালে কুয়াশার মধ্যে মনিং ওয়াক করতে মানা করা হয়ে থাকে।

হার্ট এবং ব্রেনের মারাত্মক ক্ষতি হয়
কুয়াশা তৈরির পিছনে যে ক্ষতিকর গ্যাসের ভূমিকা থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হল কার্বন মনোক্সাইড। এই গ্যাসটি শ্বাস নেওয়ার সময় একবার যদি শরীরে প্রবেশ করে যায় তাহলেই বিপদ। কারণ কার্বন মনোক্সাইড মস্তিষ্কে এবং হার্টে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছাতে দেয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি অঙ্গ ধীরে ধীরে বিকল হয়ে যেতে শুরু করে।

হাঁচি-কাশি বেড়ে যায়
যে যে উপাদান দিয়ে কুয়াশা তৈরি হয়, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল মাইক্রোস্কোপিক পার্টিকল বা ধুলো। এই ধুলো শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই হাঁচি-কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশানের ভয়ও থাকে।

আরও পড়ুনঃ   নারিকেল তেলের উপকারিতা কী? নারিকেল তেলের ১০ গুণ জেনে নিন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 − six =