কিভাবে নিজের ত্বকের ধরন নিজেই নির্বাচন করুন

0
583
ত্বকের ধরন নির্বাচন

ত্বকের যত্নে প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রেই বলুন আর ঘরে তৈরি মাস্ক নির্বাচনের ক্ষেত্রেই বলুন ত্বকের ধরন জানা আবশ্যক। কেননা ত্বকের ধরন না বুঝে প্রোডাক্ট বা ফেসপ্যাক যা-ই ব্যবহার করুন না কেন ফলাফল কিন্তু ভালো হয় না। আর তাই ত্বকের ধরন না জানলেই নয়। বেশির ভাগ সময় আমরা অনেকেই নিজের ত্বককে হয় তৈলাক্ত নয় শুষ্ক এই দুটি ভাগে ফেলে দেই। কিন্তু আমাদের ত্বক যে মিশ্র বা স্বাভাবিক হতে পারে তা ভুলে যাই।

সবই তো বুঝলাম। কিন্তু নিজের ত্বক কোন ধরনের তা নির্বাচন করব কী করে? নিচে কয়েকটি ধাপে আপনি নিজেই নিজের ত্বকের ধরন বুঝতে পারবেন। তবে একটি ব্যাপার অবশ্যই মনে রাখবেন, প্রতিটি ত্বকের ধরনের বৈশিষ্ট্য ব্যক্তি বিশেষে পরিবর্তন হতে পারে।

মুখ ধুয়ে নিন

ভালো করে পুরো মুখের মেকাপ তুলুন এবং ধুয়ে নিন যাতে করে সারা দিনের তেল  এবং ময়লা মুখে লেগে না থাকে।

২ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন

মুখ ধোয়ার পর কোন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যাবে না। ২ ঘণ্টা সময় দিন এতে করে আপনার ত্বক তার আসল বৈশিষ্ট্যে ফিরে আসবে।

কী দেখতে পাচ্ছেন?

এবার আপনার ত্বকের অবস্থা বুঝে ধরন আপনি নিজেই নির্বাচন করতে পারবেন।

স্বাভাবিক ত্বক

কোন ধরনের চামড়া উঠবে না এবং ত্বকের উপর বাড়তি তেল অনুভব করবেন না। ত্বক স্পর্শ করলে অনেক মোলায়েম এবং দেখতে নরমাল মনে হবে।

–     আপনার ত্বকের ধরন খুব ভালো। এবং সবার কাম্য।

–     ভারী কোন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।

তৈলাক্ত ত্বক

স্কিন চকচকে দেখায়। এবং স্পর্শ করলে পিচ্ছিলভাব অনুভূত হবে। গরম আবহাওয়ায় ত্বকের তেলের পরিমান বেড়ে যাবে।

–     মন খারাপ করার কিছু নেই। তৈলাক্ত ত্বকের ঝামেলা অনেক হলেও এ ধরনের ত্বকে বয়সের ছাপ অনেক দেরিতে পড়ে।

আরও পড়ুনঃ   শীতের রাতে ত্বকের যত্ন

–     অয়েল সমৃদ্ধ স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ওয়াটার বেসড প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।

শুষ্ক ত্বক

ত্বকে টান টান ভাব অনুভুত হবে। কিছু কিছু জায়গায় চামড়া ফেটে যেতেও দেখা যেতে পারে।

–     এমন ত্বকের বেস্ট ফ্রেন্ড হল ময়েশ্চারাইজার।

–     ত্বকের যত্নে লোশন এবং ক্রিম বেছে নিন। অ্যালার্জি এবং র‍্যাশের হাত থেকে বাঁচতে প্রোডাক্ট কেনার আগে উপকরণ ভালো করে পড়ে নিন।

কম্বিনেশন ত্বক

এই ধরনের ত্বকে তৈলাক্ত-শুষ্ক-স্বাভাবিক সবকিছুর কম্বিনেশন থাকে। এধরনের ত্বকে সাধারণত T-Zone  কপাল থেকে নাক, অনেক সময় থুতনি পর্যন্ত তৈলাক্ত আর বাকি জায়গাগুলো স্বাভাবিক থেকে শুস্ক হয়ে থাকে।

–     ব্যাপারটি অনেকটা এরকম যে আপনার কাছে পুরো ম্যাপটি আছে কিন্তু সঠিক প্রোডাক্টটি আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌঁছে দিবে।

–     মুখের তৈলাক্ত স্থানগুলো নির্দিষ্ট করে সেখানে ওয়াটার বেসড জেল ব্যবহার করুন। একইভাবে শুষ্ক জায়গাতে লাইট লোশন এবং সেরাম ব্যবহার করুন।

এখন নিশ্চয়ই নিজেই ত্বকের ধরন নির্বাচন করতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেন?

সোর্স:সাহায্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 − six =