ঔষধি ফল বেল-বেলের উপকারিতা জেনে নিন

0
1581
বেল

বেল আমাদের দেশের একটি অতি পরিচিত ফল। বেল মুখের ব্রণ সারাতে সাহায্য করে। গরমে এক গ্লাস বেলের শরবত শরীর ও মনে প্রশান্তি জোগায়।

বেল পেটের নানা রকম রোগ সারাতে জাদুর মতো কাজ করে। বেল গাছের, পাতা, ফল ও ছালে আছে ঔষধি বহুগুণ। কচি বেল খাওয়াই উত্তম। তবে পাকা বেল বেশ উপকারী।

প্রতি ১০০ গ্রাম বেলের শাঁসে পাওয়া যায়: পানি ৫৪.৯৬-৬১.৫ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮-২.৬২ গ্রাম, স্নেহ পদার্থ ০.২-০.৩৯ গ্রাম, শর্করা ২৮.১১- ৩১.৮ গ্রাম, ক্যারোটিন ৫৫ মিলি গ্রাম, থায়ামিন ০.১৩ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লেবিন ১.১৯ মিলিগ্রাম, এসকরবিক এসিড ৮-৬০ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ১.১ মিলিগ্রাম ও টারটারিক এসিড ২.১১ মিলিগ্রাম।

বেলের পুষ্টিগুণ:
# বেল পেটের নানা অসুখ সারাতে দারুণ কার্যাকর। দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়-ডায়রিয়া রোগে কাঁচা বেল নিয়মিত খেলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।
# বেল পেট ঠান্ডা রাখে। গরমের সময় পরিশ্রমের পর বেলের শরবত খেলে ক্লান্তিভাব দূর হয় ।
# বেলের ভিটামিন ‘এ’ চোখের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর পুষ্টি জোগায়। ফলে চোখের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
# বেলের শাঁস পিচ্ছিল বলে এই ফল পাকস্থলীতে উপকারী পরিবেশ সৃষ্টি করে, খাবার সঠিকভাবে হজম করতে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
# বেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ, যা মুখের ব্রণ সারাতে সাহায্য করে। যাদের পাইলস আছে, তাদের জন্য নিয়মিত বেল খাওয়া উপকারী।
# জন্ডিসের সময় পাকা বেল গোলমরিচের সঙ্গে শরবত করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
# শিশুদের কানের ব্যথা ও ইনফেকশন সারাতে বেলপাতার জুড়ি নেই। বেলপাতা ও তিলের তেল জ্বাল দিয়ে ওই তেল ড্রপার দিয়ে কানে দিলে ব্যথা সেরে যায়।
# নিয়মিত বেল খেলে কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমে।
# সর্দি হলে বেলপাতার রস এক চামচ খেলে সর্দি ও জ্বরভাব কেটে যায় ।
# কচি বেল টুকরা করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিলে তাকে বেলশুট বলে। যাদের আলসার আছে, তারা বেলশুটের সঙ্গে পরিমাণমতো বার্লি মিশিয়ে রান্না করে নিয়মিত খেলে আলসার দ্রুত সেরে যায়।

আরও পড়ুনঃ   জিংকের অজানা উপকারিতা!

 

১.বেলের অনেক গুন।বেল পুড়িয়ে বা সিদ্ধ করে খেলে খিদে বাড়ে,হজম শক্তি বাড়ে।কাঁচা বেল পুড়িয়ে সকালে খালি পেটে বায়ু এবং কঠ নাশ হয়।পাকা বেলের চেয়ে কাচা বেলেই বেশি উপকার।

২.বেলপাতাও বেশ উপকারি।বেলপাতার রস পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে ঘামের দূর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।এক চামচ বেলপাতার রস খেলে কাচা-সর্দি ও জ্বরভার কেটে যায়।

৩.শোথ রোগ অর্থাৎ হাত-পাস ফুলে গেলেও বেলপাতার সজ্ঞে মধু মিশিইয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৪.বেলেরফুল বেঁটে গোলমরিচে সজ্ঞে মিশিয়ে খেলে বমিভাব কেটে যায় ও অতিরিক্ত বমি হওয়া বন্ধ হয়।

৫.কচি বেল গোল করে কেটে শুকিয়ে গুড়ো করে নিলে ঘোলের সজ্ঞে মিশিয়ে খেলে আমাশা সেরে যায়।

বেলে প্রতি ১০০ গ্রাম আছে

জলীয় অংশ ৭৭.৫ ক্যালসিয়াম ৩৮ মিঃ
মোট খনিজ ০.৯ লৌহ ০.৬
আঁশ ২.৯ ক্যারোটিন(মাইক্রোগ্রাম)
খাদ্যশক্তি(কিলোক্যালরি) ৮৭ ভিটামিন বি-১ ০.০৩
আমিষ ২.৬ ভিটামিন ০.০২ মিঃ
চর্বি ০.২ ভিটামিন-‘সি’ ৯মিঃ
শর্করা ১৮.৮

পাকা বেল বেশি ভালো নয়ঃ 

তবে নিয়মিত পাকা বেল খাওয়া উচিত নয়। প্রতিদিন পাকা বেল খেলে স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় এবং পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে। সুস্থ মানুষের সপ্তাহের দু-তিন দিনের বেশি পাকা বেল খাওয়া উচিত নয় ।কোষ্ঠকিয়াঠীন্য ভুগলে প্রতিদিন বিকেলে এক কাপ করে বেলের শরবত খেলে আট-দশ দিনের মধ্যে উপকার পাবে।

নানা গুণে কদবেল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen − fourteen =