আপনার কি সব সময় ক্লান্ত লাগে? যাই করুন না কেন সব সময় ঘুম পায়? মাঝে মাঝে শরীরে এনার্জির ঘাটতির ফলে ক্লান্ত লাগে। কিছু এনার্জি বুস্টিং টিপ্স দেয়া হলো যা ফলো করলে দেখবেন সমস্যা অনেকটা কমে গেছে।
সকালের নাস্তা বাদ দেবেন না : ব্রেকফাস্ট দিনের প্রথম খাবার। তাই এটা আপনার সারা দিন শরীরের এনার্জি লেভেল নির্ধারণ করে। তাই প্রাতঃরাশ না করলে শরীর নতুন করে শক্তি সঞ্চয় হয় না। ফলে যত সময় যায় ধীরে ধীরে আপনার শরীরের এনার্জি কমতে থাকে। সকালে তাই এমন খাবার দিয়ে ব্রেকফাস্ট করুন যাতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেড আর প্রোটিন আছে।
ব্যালেনসড ডায়েট : ভালো করে ব্রেকফাস্ট করেছেন বলে লাঞ্চ বা দিনের অন্য কোনো খাবার মিস করবেন না। প্রোটিন আর কার্বোহাইড্রেড সমৃদ্ধ খাবার ছাড়াও রোজ প্রচুর ফল খান। এছাড়াও এনার্জি বুস্টিং খাবার যেমন ডিম, ওটস বা বাদাম ডায়েটে রাখুন।
ব্যায়াম : যতই সঠিক খাবার খান ঠিক মতো ব্যায়াম না করলে কোনো লাভ হবে না। সকালে জগিং হোক বা সন্ধ্যাবেলায় ইভনিং ওয়াক, যেকোনো ব্যায়াম শরীরের জন্য খুব দরকারি।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন : মাঝে মাঝে কম পানি খেলে ড্রেনড আউট আর ডিজি লাগে। দিনে কম করে ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করুন।
স্ট্রেস আউট হবেন না একদম : স্ট্রেসড থাকলে খুব তাড়াতাড়ি এনার্জি লেভেলে ঘাটতি হয়। এই সময় ডিপ ব্রিদিং, ভালো মিউজিক শুনুন বা ভালো কোনো সিনেমা দেখুন বা মেডিটেশন সাহায্যে স্ট্রেস কমান।
বদভ্যাস পাল্টান : মদ বা সিগারেট সেবনের পর কিছুক্ষণের জন্য এনার্জি লেভেল বেড়ে গেলেও লং রানে কিন্তু তা ক্ষতি করে। কাজেই এ দুটি এড়িয়ে চলুন।
হাসি খুশি মানুষের সান্নিধ্যে থাকুন : দেখা গেছে নেগেটিভ ইমোশনস যেমন রাগ, ঈর্ষা, ফ্রাসট্রেশন এইসবের মধ্যে থাকলে স্ট্রেস বেড়ে যায় ফলে এনার্জি কমে যায়। তাই যতটা পারবেন হাসি খুশি মানুষের মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন।