একসঙ্গে চারটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মা। এদের মধ্যে একটি পুত্র ও তিনটি কন্যাশিশু। রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হসপিটালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে এই পৃথীবিতে আগমন ঘটে তাদের। বর্তমানে মাসহ চার নবজাতক সুস্থ রয়েছেন। তাদের জন্য কোন আইসিইউ বা লাইফ সাপোর্ট লাগেনি।
অপারেশন পরিচালনা করেন উত্তরায় অবস্থিত শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সংযুক্তা সাহা।
চার সন্তানের জন্মদাত্রী শারমিন আক্তার ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার নাঙ্গলমোড়া নোয়াপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। সাইফুল ইসলাম দুবাই প্রবাসী। বিয়ের তিন বছর পর এ দম্পতির ঘর আলো করে এলো ৪ শিশু।
তবে আনন্দের মাঝেও দরিদ্র এই পরিবারটি সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তিত আছেন। তারা সরকারসহ সব মহলের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন।
কালের কণ্ঠের সহ-সম্পাদক আতাউর রহমান কাবুল তার ফেসবুক পেজে এমন তথ্য দিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে আতাউর রহমান কাবুল জানান, সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালক এম এ কাশেম আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে নিজেই ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ছবিগুলো অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে।
ডা. সংযুক্তা সাহা আরও জানিয়েছেন, ৩৬ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন শারমিন আক্তার। ফেনীতে সপ্তাহে একদিন সংযুক্তা সাহা রোগী দেখেন। সেখানেই শারমিন নিয়মিত চেকআপ করাতেন। গর্ভকালীন কোন ত্রুটি না থাকলেও গর্ভে সন্তানগুলো ছিলো উল্টো (ব্রিচ প্রেজেন্টেশন)। তাই ঝুঁকি এড়াতে প্রসূতিকে এক সপ্তাহ পূর্বে সেন্ট্রাল হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছিল। সাধারণ মাল্টি প্রেগনেন্সিতে নানা ধরনের জটিলতা থাকে। কিন্তু শারমিনের ক্ষেত্রে তেমন কোন জটিলতা ছিল না। শুধু গর্ভের সন্তান উল্টে ছিল।
সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালক ডা. এমএ কাশেম জানান, বর্তমানে মা-সহ চার নবজাতক সুস্থ আছেন। তাদের জন্য কোন আইসিইউ বা লাইফ সাপোর্ট লাগেনি।
সাহায্য কামনা করেছে দরিদ্র পরিবারটি
নবজাতকদের নানী শাহনাজ বেগম বলেন, এতোদিন পর সন্তান হওয়াতে তারা বেজায় খুশি। তবে তার মেয়ে শারমিনের পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না। শারমিনের স্বামী মাত্র ১২-১৫ হাজার টাকা বেতনে দুবাইয়ে একটা কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিন দেবর, ননদ, শ্বশুর-শাশুরি নিয়ে তাদের আটজনের পরিবার। দরিদ্র এই পরিবারে এখন একসঙ্গে যুক্ত হলো আরো ৪ জন। হাসপাতালের বিল নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন। এই পরিস্থিতিতে সব মহলের কাছে দোয়া ও আর্থিক সাহায্য কামনা করছেন তারা। তাদের ধারণা, ৪ নবজাতকের ভরণপোষণে সবাই সহযোগিতা করলে দরিদ্র এই পরিবারটি হয়তো টিকে থাকতে পারবে। সন্তানগুলোকেও গড়ে তুলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে শারমিনের মামা মো. সফিউল ইসলাম ভুইয়া, একাউন্ট নম্বর ১৫৬২১০১০০০০৭৫৩, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ফেনী-এই ঠিকানায় টাকা পাঠানো যাবে। শাহনাজ বেগমের সঙ্গে কথা বলা যাবে ০১৮৪৩ ৭১৫৩৯৪ এই নম্বরে। বিকাশ করতে চাইলে ০১৮১৮ ১৯৭৭৭৬ (পারসোনাল)।
সূত্র: দ্য রিপোর্ট ২৪