১২ টি প্রাকৃতিক মাউথফ্রেশনার সম্পর্কে জেনে নিন

0
479
মাউথফ্রেশনার,মাউথ,ফ্রেশনার

নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ আত্মবিশ্বাস দমিয়ে দেয় খানিকটা হলেও। খুব করে পেঁয়াজ-রসুন দেয়া ভারি খাবার খাওয়ার পর অস্বস্তিতে কথা বলতে পারছেন না? এর সমাধান হচ্ছে, ব্যাগে রাখুন দারচিনি, এলাচ অথবা লবঙ্গ এবং চট করে একটু চিবিয়ে নিলেই দেখবেন দুর্গন্ধ উধাও। তাছাড়া খাওয়ার পর পুদিনা বা ধনেপাতা চিবিয়ে খেলেও মাউথফ্রেশনারের কাজ হবে। এর বাইরে আরো কিছু প্রাকৃতিক মাউথফ্রেশনারের সন্ধান জানাচ্ছি—

এলাচ

বহু প্রাচীনকাল থেকে এলাচ মাউথফ্রেশনার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সঙ্গে ছোট একটি কৌটায় কিছু এলাচ রাখুন। খাওয়ার পর অথবা দিনের যেকোনো সময়ে মুখে পুরে চিবান। এতে তরতাজা বোধ করবেন।

মেথি

পানিতে মেথি সিদ্ধ করে নিন। সকাল বা রাতে দাঁতব্রাশের পর কুলকুচা করে নিলেই দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

পুদিনা পাতা

ভারি খাবার খাওয়ার পর মাউথফ্রেশনার হিসেবে তিন-চারটা পুদিনা পাতা চিবান। এতে দুর্গন্ধ উবে যাবে, দাঁতের ক্ষয়রোধ হবে ও খাবার হজমও হবে ভালো।

লবঙ্গ

মুহূর্তের মধ্যে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে সবসময় ব্যাগে রাখুন লবঙ্গ। কারণ লবঙ্গ ব্যাকটেরিয়া ও দাঁতের ক্যাভিটি রোধ করে। তাই দিনে বেশ কয়েকবার মুখে দু-তিনটা লবঙ্গ পুরে কিছুক্ষণ চিবিয়ে ফেলে দিন।

ধনেপাতা

নিঃশ্বাসে সতেজতা ফিরিয়ে আনতে কাঁচা ধনেপাতা বেশ কার্যকরী। এর ক্লোরোফিল মুখের দুর্গন্ধ শুষে নেয়। তাই খাওয়ার পর কিছু পরিমাণ ধনেপাতা চিবানোর অভ্যাস করুন।

লবণ পানি

প্রাকৃতিক মাউথফ্রেশনার হিসেবে লবণ পানি সবচেয়ে সহজলভ্য। বেসিনে একটি কৌটায় লবণ রেখে দিন। প্রতিবার ব্রাশ করার পর বা প্রয়োজনবোধে আধগ্লাস পানিতে এক চা চামচ লবণ ভালোভাবে নেড়ে কুলকুচা করে নিন। এতে দাঁতও হয়ে উঠবে অনেক বেশি পরিষ্কার।

ভিনেগার

পেঁয়াজ ও রসুন বেশি রয়েছে, এমন খাবার খাওয়ার পর কথা বলতেই হয় অস্বস্তি। কারণ তো বুঝতেই পারছেন। সেক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে ভিনেগার। এক গ্লাস পানিতে একটু ভিনেগার মিশিয়ে কুলকুচা করে নিলেই ফের সতেজতা ফিরে পাবেন।

আরও পড়ুনঃ   তিলের তেলের মালিশের ১০ টি উপকারিতা

দারচিনি

দারচিনিতে রয়েছে এক ধরনের তেল, যা মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া নাশ করে। তাছাড়া এর তীব্র ঝাঁঝালো মিষ্টি গন্ধ থাকে দীর্ঘসময় অবধি।

গ্রিন টি

গ্রিন টি কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো তা নয়, এর শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখে দুর্গন্ধসৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে। প্রতিদিন গ্রিন টি পান করলে নিঃশ্বাসে সতেজতা থাকবে সবসময়।

সরিষা বাটা

সরিষা বেটে ঢাকনাওয়ালা পাত্রে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। মসলাদার খাবার খাওয়ার পর আধা চা চামচ সরিষা বাটা মুখে দিয়ে বেশ সময় নিয়ে খান।

লেবু

লেবুর ক্ষারীয় উপাদান মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি হতে দেয় না। একই সঙ্গে এটি দাঁত, জিহ্বা ও ঠোঁট সবই রাখে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত। পেয়ারা পাতা পেয়ারার কচি পাতা ধুয়ে খানিকক্ষণ চিবিয়ে নিলে উপকার পাওয়া যায়।

পেয়ারা পাতা

পানিতে সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে কাচের বোতলে সংরক্ষণ করেও ব্যবহার করতে পারেন প্রয়োজনমতো।

বিঃ দ্রঃ গুরুত্বপূর্ণ হেলথ নিউজ ,টিপস ,তথ্য এবং মজার মজার রেসিপি নিয়মিত আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে লাইক দিন আমাদের ফ্যান পেজ বিডি হেলথ নিউজ এ ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

five + 13 =