হার্ট চাঙ্গা থাকলে মস্তিষ্কও সুস্থ থাকবে

0
270
হার্ট ,মস্তিষ্ক, সুস্থ

ব্রেন যত দ্রুত কাজ করবে, যত লাফালাফি করবে, তত তো বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি বাড়বে। সেই সঙ্গে মনযোগও বৃদ্ধি পাবে। তাই তো ব্রেনের লাফালাফি বাড়াতে কে না চায় বলুন!

কিন্তু মস্তিষ্কের লাফালাফি বাড়াবো কিভাবে! খুব সহজ! আজ থেকেই হার্টের খেয়াল রাখা শুরু করুন। দেখবেন মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।

কিন্তু ব্রেনের সঙ্গে মস্তিষ্কের কী সম্পর্ক? আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং আমেরিকান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে হার্ট যদি বেশি মাত্রায় মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করে, তাহলে ব্রেনের শিরা-উপশিরা ছোট হয়ে গিয়ে স্ট্রোক বা কগনিটিভ ফাংশনের অবনতি ঘটার আশঙ্কা থাকে না। ফলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

শিরা-উপশিরার এমন ছোট হয়ে যাওয়াকে চিকিৎসা পরিভাষায় অ্যাথেরোস্কেলেরোসিস বলা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং জীবনযাত্রার প্রভাবে মস্তিষ্কের অন্দরে এই রোগ বাসা বাঁধার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে যদি হার্টকে চাঙ্গা রাখা যায়, তাহলে অ্যাথেরোস্কেলেরোসিসের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনাই থাকে না।

হার্টকে সুস্থ রাখবেন কিভাবে? এক্ষেত্রে কতগুলি খাবারকে যদি সঙ্গে রাখেন, তাহলে হার্টকে নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকে না। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানগুলি ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগকে ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয় না। ফলে হার্টের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই থাকে না।

কী কী খাবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে?

১. রসুন: একাধিক গবেষণায় একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেছে যে প্রতিদিন সকালে যদি এক কোয়া করে রসুন খাওয়া যায়, তাহলে রক্তে বাজে কোলেস্টেরল বা এল ডি এল-এর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। উল্টে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এখানেই শেষ নয়, রসুন হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে সারা শরীরে রক্তর সরবরাহ মারাত্মক বাড়িয়ে দেয়। ফলে হার্টের পাশাপাশি মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও মারাত্মক বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুনঃ   যা খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়বে: হিমোগ্লোবিন কম থাকলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত

২. কাঁচা লঙ্কা: শুনে অবাক লাগলেও একথা ঠিক যে হার্টকে সুস্থ রাখতে কাঁচা লঙ্কার বাস্তবিকই কোনও বিকল্প হয় না। আসলে এতে উপস্থিত ক্যাপসিসিন নামক উপাদান, ব্লাড ভেসেলের ইলাস্ট্রিসিটি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে ব্লাড ক্লটের আশঙ্কাও কমায়। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রাকাশিত বেশ কয়েকটি গবেষণা পত্র অনুসারে কাঁচা লঙ্কায় উপস্থিত ক্যাপসিসিন, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফলে সবদিক থেকে হার্ট সুরক্ষিত থাকে।

৩. আদা: এই প্রাকৃতিক উপাদানটি একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়, তেমনি অন্যদিকে ব্লাড ক্লটের আশঙ্কাও কমায়। সেই সঙ্গে হার্টের অন্দরে কোনওভাবে যাতে প্রদাহ সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। এক কথায় সব দিক থেকে হার্টকে নিরাপত্তা প্রদানে আদা দারুন কাজ আসে।

৪. গ্রিন টি: এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তে যাতে কোনওভাবে এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি না পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। শুধু তাই নয়, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গ্রিন টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো হার্ট এবং ব্রেনকে সুস্থ রাখতে আজ থেকেই দিনে ২ কাপ করে গ্রিন টি পান শুরু করতে পারেন। দেখবেন উপকার মিলবে।

৫. অর্জুন গাছের ছাল: এতে প্রচুর মাত্রায় রয়েছে টেনিনস, ট্রাইটারপেনোয়েড স্যাপোনিস এবং ফ্লেবোনয়েডের মত একাধিক উপকারি উপাদান, যা একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। ফলে হার্টকে নিয়ে আর কোনও চিন্তাই তাকে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

9 + one =