হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে আমাদের কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা আছে। এই ভুল ধারণার দূর করতেই আজকের এই পোস্ট। হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। এই ব্যাথা ২০-৩০ মিনিট স্থায়ী হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী হাসপাতালে পৌছার আগেই মৃত্যুবরন করে।তাই এটি একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি।
আমরা ভাবি মানুষ বুড়ো হলে ,মোটা হলে বা টেনশন করলে হার্ট অ্যাটাক হয়। কিন্তু এটা ভুল। যে কোন সময় হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও হার্ট অ্যাটাক নিয়ে আরও কিছু ভুল ধারণা রয়েছে আমাদের। যেমন-
১। আগে স্ট্রোকের ঝুঁকি বয়স্কদের বেশি মনে করা হলেও, সেটা এখন ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এখন প্রায় পাঁচ লক্ষ লোক স্ট্রোকে আক্রান্ত।
২।পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস থাকলেই যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়বে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব, অনিয়মিত লাইফস্টাইল, মদ্যপান, ধূমপান হার্ট অ্যাটাক ডেকে আনতে পারে।
৩। ডায়েট থেকে ফ্যাট বাদ দিলেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। ট্রান্স ফ্যাটের মধ্যে থাকা হাইড্রোজেন অয়েল হার্টের জন্য অস্বাস্থ্যকর। চিজ, ডিম, অ্যাভোকাডো, স্যামন মাছে থাকা ফ্যাট হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর।
৪। বুকে ব্যথা মানেই হার্ট অ্যাটাক ভেবে নেন অনেকেই। বুকে ব্যথা ছাড়াও নীরবে আসতে পারে হার্ট অ্যাটাক। বুকে ব্যথা ছাড়াও মাথা ঘোরা, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, গা গোলানোও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
৫। ডায়াবেটিস হালকা ভাবে নেবেন না। হার্ট অ্যাটাকের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ ডায়াবেটিস। অনেকেই মনে করেন ওষুধ খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। এইমনটা ভাবার কোনও ভিত্তি নেই। কোলেস্টেরলের মাত্রা, ওবেসিটি অনেক কিছুর জন্যই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।
৬। এমন একটা ধারণা রয়েছে যে পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি মহিলাদের তুলনায় বেশি। যদিও পুরুষদের মধ্যে অল্প বয়সে বেশি আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় কিন্তু স্ট্রেস, ওবেসিটির মতো অনেক বিষয় রয়েছে যা মহিলাদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
-সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
বর্তমান জীবনযাত্রায় ক্রমশই বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। তাই এটির বিষয়ে সচেতনতা দরকার। তবে তার আগে দরকার হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা দূর করা। এই মিথ বা ধারণাগুলোর কারণে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে অহেতুক বাড়তে পারে ভয়।
