সন্তান ধারণে সক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক নারী অবশ্যই এই কাজগুলো করুন

0
1508
সন্তান ধারণে সক্ষমতা

আজকাল সন্তান না হওয়া বা বন্ধ্যা হওয়ার হার আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। দাদী-নানীদের আমলে যেখানে অনেকটা বয়স হয়ে গেলেও সন্তানের মা হওয়ার ব্যাপারটা ছিল, আজকাল দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ উল্টো। বয়স ৩০ পেরিয়ে গেলেই নারীদের সন্তান ধারণে জটিলতা দেখা দিচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। সন্তানহীন দম্পতিদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে হু হু করে। চলুন, আজ জেনে নিই একজন নারী তাঁর উর্বরতা নিশ্চিত করতে ও সন্তান ধারণে সক্ষম থাকতে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারেন। আগামী পর্বে থাকবে সন্তান ধারণ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে পুরুষের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত।

১) নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে কম বয়সেই সচেতন হতে হবে। নিজেকে জানুন, নিজের শরীর সম্পর্কে জানুন। এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। আপনার কোন অসুখ হলেই ডাক্তারের কাছে যাবেন, বিষয়টা যেন এমন না হয়। বরং বিবাহিত-অবিবাহিত প্রত্যেক নারীরই উচিত ২ বছর পর পর স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ দ্বারা নিজের একটি সম্পূর্ণ চেকাপ করানো। এতে অনেক ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত অসুখ সম্পর্কেও অগ্রিম জানতে পারবেন।

২) পিরিয়ড সংক্রান্ত যে কোন সমস্যাকে মোটেও অবহেলা করবেন না। পিরিয়ড না হওয়া, অনিয়মিত পিরিয়ড, পিরিয়ডে দেরি হওয়া, পিরিয়ডের সময় প্রচণ্ড ব্যথা বা অন্য যে কোন পিরিয়ড জনিত সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। মোটেও লজ্জা পাবেন না বিষয়টি নিয়ে।

৩) নিজের ওজনটা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সুস্থ সন্তান ধারণের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরী। বিশেষ করে যাদের তলপেট ভারী, তাঁরা অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন ও ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। জরায়ুর আশেপাশে চর্বি জমে গেলে সন্তান ধারণে অসুবিধা হওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।

৪) স্বেচ্ছায় গর্ভপাত জিনিসটাকে শতভাগ পরিহার করুন। বিশেষ করে যদি আপনি প্রথমবার গর্ভবতী হয়ে থাকেন, তাহলে অতি অবশ্যই গর্ভপাত করাবেন না। পরবর্তীতে এর বড় মাসুল দিতে হতে পারে। আজকাল অনেক মেয়েই বিয়ের আগে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেন, ফলে দেখা যায় এক বা একাধিক অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত করাতে। এসব করে কেবল নিজেরই সর্বনাশ ডেকে আনছেন তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ   হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহারের আগে যা জেনে রাখা জরুরী

৫) আই পিল বা এই ধরণের যত ইমারজেন্সি কন্ত্রাসেপটিভ পিল আছে, এগুলো অবশ্যই পরিহার করুন। যদিও কোম্পানিগুলো দাবী করে যে এগুলো শতভাগ নিরাপদ। কিন্তু সত্য হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে এগুলো ব্যবহার করলে পরিণাম সন্তান ধারণে অক্ষমতা।

৬) প্রথম সন্তান নেয়ার আগে জন্মবিরতিকরন পিল ব্যবহার করবেন না।

৭) নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ওজন বাড়ানো কিংবা কমানোর জন্য নয়, কায়িক পরিশ্রম করুন নিজেকে সুস্থ রাখতে। সুস্থ মা মানেই সুস্থ শিশু।

৮) ধূমপান বা মদ্যপান, কিংবা যে কোন নেশার অভ্যাস থেকে শত হাত দূরে থাকুন।

৯) খাদ্য তালিকায় রাখুন স্বাস্থ্য সম্মত খাবার। ডিম, দুধ, হরেক রকম সবজি, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার নারীর উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

সূত্র উইমেন হেলথ, বিউটি মান্ত্রা

লেখাটি ভাললাগলে কিংবা উপকারে আসলে শেয়ার করে অপরকে জানান।

মোবাইল ব্যবহারের ফলে বাড়ছে মিসক্যারেজ!

বিঃ দ্রঃ গুরুত্বপূর্ণ হেলথ নিউজ ,টিপস ,তথ্য এবং মজার মজার রেসিপি নিয়মিত আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে লাইক দিন আমাদের ফ্যান পেজ বিডি হেলথ নিউজ এ ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

seven + 13 =