একঘেয়ে ক্লান্তিজনক জীবনযাত্রা মানুষের স্বাভাবিক ইচ্ছে আর ক্ষমতাগুলোকেও আজকাল নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনীর সাথে শারীরিক সম্পর্কটাও আজকাল ক্লিশে হয়ে যাচ্ছে। রোজকার দৌড়োদৌড়ি আর টেনশন মানুষের স্বাভাবিক যৌনজীবনে যে প্রভাব ফেলছে, তার থেকে সম্পর্ক যে শুধু দুটো মানুষের খারাপ হচ্ছে তাই নয়, বরং স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকেও বিষিয়ে দিচ্ছে। দিনের শেষে বিছানা দেখলেই মনে হয় নিবিড় ঘুমে নিজেকে ডুবিয়ে দিতে? তাহলে আপনিও সেই একই পথের পথিক।নিজের ও নিজের জীবনসঙ্গীর জীবন আবারো নতুন করে রোমাঞ্চ কর ও উত্তেজনায় ভরে তুলতে আসুন আমরা সন্ধান করি প্রাচীন কিছু উপায়ের যার দ্বারা তখনকার দিনে রাজারা তাঁদের একাধিক স্ত্রী ও সখিদের তৃপ্তি দিয়ে নিজেরাও তৃপ্ত হতেন।
তখনকার বিভিন্ন বৈদ্য রাজা মহারাজাদের এই সকল টোটকা দিতেন। নিজেদের যৌন জীবনকে আরো বেশি আনন্দঘন করে তুলতে রইল বেশ কিছু সুলুকসন্ধান আমাদের খবর ২৪ ঘন্টার তরফ থেকে…
পৌরুষ ধরে রাখতে এবং শরীরের উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে হলে শরীরের সকল অঙ্গে সঠিক মাত্রায় রক্তপ্রবাহ দরকার। বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ করতে হলে এবং যৌনাঙ্গের বিস্তার সঠিকভাবে করতে হলে এক চিমটি কেশর রোজ রাতে গরম দুধে মিশিয়ে খেতে হবে।
পুরুষদের স্পার্ময়ের পরিমাণ কম হলে অকাল বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে যা প্রতিরোধ করতে হলে দুধের সাথে মিছরি আর এক চামচ মুসলি মিশিয়ে রোজ সকালে খেতে হবে।
বাদামে থাকে আর্জিনিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। পরিণামে যৌন ইচ্ছা ও উত্তেজনা বৃদ্ধির মাধ্যমে আপনার সঙ্গীকে এক অসাধারণ যৌনজীবন দিতে পারেন এবং নিজেও উপভোগ করুন আরো উত্তেজক ও কামোদ্দীপক জীবন।

ইরেকটাইল ডিসফাংশান অর্থাত্ যৌন উত্তেজনা কম হয় যদি শিরার মধ্যে সঠিক পরিমাণ রক্তপ্রবাহ না হয়। শুক্রাণুর বৃদ্ধি ও এই লিঙ্গকে সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে উত্তেজিত করতে তেঁতুলের দানা গুঁড়িয়ে পাউডার বানিয়ে দিনে দুইবার সকাল ও রাতে গরম দুধে মিছরি মিশিয়ে খেতে হবে।
যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি, যৌবন ধরে রাখার চিরাচরিত উপায় এবং শিথিলতা দূর করতে বহুযুগ আগেই শিলাজিতের ব্যবহার চলে আসছে। ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি করতে, বার্ধক্য প্রতিহত করতে, শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে এক চিমটে শিলাজিতের গুঁড়ো নিয়ে গরুর ঘি বা মধুর সাথে রোজ খেতে হবে।
শতাবর-
ধূম্রপান, মদ্যপান প্রভৃতি বদভ্যাসের ফলে পৌরুষের কমতি হয় অর্থাত্ অকাল বন্ধ্যাত্ব দেখা যায়। যৌন সমস্যার লাঘব করতে আর ইরেকটাইল ডিসফাংসান থেকে মুক্তি পেতে ও সঠিক জীবনযাত্রায় যৌনতাকে উপভোগ করতে এক চামচ মিছরি, এক চামচ গাওয়া ঘি ও আধ চামচ শতাবর পাউডার মিশিয়ে দুধের সাথে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

মহিলাদের সন্তান প্রসবকালে যাতে কোন জটিলতা সৃষ্টি না হয়, পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধি, ইরেকটাইল ডিসফাংসান এড়িয়ে যাতে শিরায় রক্তপ্রবাহ সঠিক হয়, তার জন্য এবং যৌনাঙ্গের বৃদ্ধির সঠিকতা ধরে রাখতে এক চামচ আমলকী পাউডার ও এক চামচ মিছরি জলের সাথে গুলে তারপর গরম দুধ সেবনে নিশ্চিত উপকৃত হবেন।
পূনর্নবা-
এই পাতাটি সর্দি, কাশির জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি আবার অনাক্রম্যতা দূর করতে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধক এ্যান্টি এজিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়। রোজ এক চামচ মধুর সাথে হাফ চামচ পূনর্নবা পাউডার মিশিয়ে খেলে অস্তমিত যৌবন পুনরুত্থিত হয়।
যৌনাঙ্গের শিথিলতা দূরীকরণ, ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি, শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি ও লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করতে অশ্বগন্ধা অসাধারণ উপকারী। রাতে শোবার আগে গরম দুধে এক চামচ অশ্বগন্ধা মিশিয়ে খেতে হয়।
ইসবগুলের ভুষি –

যৌন দুর্বলতার সমাধান করতে সাহায্য করে থাকে ইসবগুলের ভুষি।প্রতিদিন সকালে ১ চামচ ইসব গুলের ভুষি জলে মিশিয়ে পান করুন। আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন এটা খেতে পারেন। যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিকারক এটি আপনার যৌনজীবনকে পরিপূর্ণ করে তুলবে
প্রাচীন যুগে রাজারা শারীরিক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য/ যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যা খেতেন!